চকরিয়াSunday , 28 August 2022
  1. Lead Post
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আজব খবর
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আলোকিত চকোরিয়া
  7. আলোকিত বন্ধু সমাবেশ
  8. আলোকিত বাংলাদেশ
  9. আলোকিত বিজ্ঞাপন
  10. আলোকিত মানুষ
  11. আলোকিত শিশু
  12. আলোকিত সংবাদ
  13. আলোকিত সাময়িকী
  14. ইসলাম ও ধর্ম
  15. কক্সবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চকরিয়ায় জুয়া থেকে পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে ঝাঁপ লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের দাবি হত্যা

admin2
August 28, 2022 6:29 pm
Link Copied!

চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদী থেকে শফি আলম (২৯) নামের যুবকের যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের পুরুইত্যাখালী হইন্যারকুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শফি আলম উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শীতারখিল- ছোট ভেওলা গ্রামের মৃত আবদুস ছোবহানের ছেলে। এর আগে গত শুক্রবার রাতে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে জুয়ার আসর থেকে মাতামুহুরী নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন শফি। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ২৮ আগষ্ট তাঁর লাশ উদ্ধার হয়।স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে উপজেলার ছোট ভেওলার মাতামুহুরী নদীর পাড়ে শফিসহ বিভিন্ন এলাকার ৮ থেকে ১০ জন তাসে (জুয়া) খেলছিলেন। এ সময় স্থানীয় কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য এনামুল হক ও মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে পাশের বিএমচর ইউনিয়নের কুতুবউদ্দিন নামের একজনকে আটক করে পুলিশ। তখন শফিসহ তিনজন পাশের মাতামুহুরী নদীতে ঝাঁপ দেন এবং অন্যরা পালিয়ে যান। নদীতে ঝাঁপ দেওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন তীরে উঠে এলেও নিখোঁজ হন শফি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল শনিবার মাতামুহুরী নদীতে নৌকায় মাইক বেঁধে শফির নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করা হয়।২৮ আগশ্ট সকালে নদীর পুরুইত্যাখালী কইন্যারকুম এলাকায় শফির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাঁর স্বজনদের খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। মাতামুহুরী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। নিহত শফির চোয়ালের ওপর দিয়ে একটি রশি প্যাঁচানো ছিল। শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে এটি হত্যাকাণ্ড কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে হত্যার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহত শফির ভাই মোহাম্মদ আরিফ ও তার পরিবার অভিযোগ করে বলেন, তাঁর ভাইকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁকে রশি দিয়ে বেঁধে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে, যাতে প্রচার করা যায়, নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পর তিনি মারা গেছেন। এনাম মেম্বার ও গ্রাম পুলিশ কামাল বেঁচে যাওয়ার জন্য কৌশলে পুলিশকে ব্যবহার করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত নির্বাচনে ইউপি সদস্য এনামুল হকের পক্ষে নির্বাচন না করায় তিনি তাঁর ভাইকে হত্যা করেছেন। তাঁরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ বিষয়ে এমইউপি এনামুল হক বলেন, মাতামুহুরী নদীর পাশে একটি বাড়িতে প্রতি রাতে জুয়ার আসর বসে। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এএসআই নাছিরকে সঙ্গে নিয়ে ওই জুয়ার আসরে অভিযান চালানো হয়। তিনি কেন পুলিশ নিয়ে সেখানে গেলেন এবং তখন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে কেন শফি মারা গেলেন, সে ক্ষোভ থেকে তাঁকে হত্যায় জড়ানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এদিকে, এলাকাবাসীর প্রশ্ন, জুয়ার আসর থেকে নদীতে ঝাঁপ দিলে তাঁর গলায় রশি কীভাবে প্যাঁচালো? তার লাশ উদ্ধারের পর থেকে এলাকার মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এদিকে কৈয়ারবিল ইউপির চেয়ারম্যান মক্কী ইকবালের নিরবতা এলাকাবাসীকে বিস্মিত করেছে।শফির পরিবারের লোকজন বলেন, ৩ দিনের ব্যাবধানে ওই চেয়ারম্যান ভাল মন্দ কোন রুপ খোজই নেননি।পুলিশ দাবী করছে চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে কোন রুপ ভাবছেননা।সচেতন মানুষজন বলেন, এমন একটি ঘটনায় কেন নিজেকে আড়াল করেছেন চেয়ারম্যান তা আগামীতে সাধারণ নাগরিকরা আদৌ এলাাকায় কতটুকু নিরাপদ? তা ভাবিয়ে তুলছে সবাইকে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।