কলেজছাত্রকে বিয়ে করা ওই কলেজ শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফেসবুকে প্রেম করে নাটোরের ছাত্র মামুনকে বিয়ে করা খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাছির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ফেসবুকে ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের প্রথম পরিচয়। তারপর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন।সূত্র বলছে, তার লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝোলানো ছিল। পুলিশের ধারণা, তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, তিনি আত্মহত্যা করেছের কি না! অনেকে বলছেন, তাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হতে পারে।এদিকে ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধারের পর স্বামী মামুনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ।প্রেম মানে না ধর্ম, বর্ণ, বয়স, জাত। তার প্রমাণ করেছিলেন কলেজছাত্র মামুন এবং শিক্ষিকা খায়রুন নাহার। ফেসবুকে প্রেমের পর বিয়ে করেন তারা। ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয় বছরখানেক আগে। পরে তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা।
বিয়ের ছয় মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমি অনেক সুখে আছি।’ তখন কলেজ শিক্ষিকা খায়রুন আরো বলেছিলেন, ‘সমাজে কে কী বলে, তা বড় বিষয় না। আমরা যদি দুজন ঠিক থাকি, তাহলে সব ঠিক।’ আর আট মাস পর খবর পাওয়া গেল সেই শিক্ষিকা চলে গেলেন না-ফেরার দেশে। তবে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে, নাকি আত্মহত্যা করেছেন- সে বিষয়ে এখনো সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।