ও খেলবে এর মধ্যে কোনো যদি কিন্তু নেই। সাকিব আল হাসানের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট খেলার বিষয়ে জানতে চাইলে গত সোমবার রাতে চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।যদিও ২৪ ঘন্টা পার না হতেই বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, খোদ সাকিবই এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন না। তার মৌনতার কারণেই রহস্যবৃত রয়ে গেলো সবকিছু।মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট খেলার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাকিব সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আজ ছুটিতে আছি। ছুটির দিনে খোলাসা করার কিছু নেই। জানতে চান, জানতে পারবেন।’বিপিএলের ফাইনালের আগে অনুশীলন, ট্রফির ফটোসেশন বাদ দিয়ে বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করেছিলেন সাকিব। ফাইনালের পর কলকাতায় গিয়েও বিজ্ঞাপনের কাজ শেষ করে একদিন পর চট্টগ্রামে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এবার আন্তর্জাতিক সিরিজ চলাকালীনই ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক কাজে ব্যস্ত সময় কাটালেন তিনি।মঙ্গলবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে দুই ঘন্টা ছুটি নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইয়ামাহা ফ্ল্যাগশিপ সেন্টার উদ্বোধন করেছেন বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। ইয়ামাহা’র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কয়েক বছর ধরেই যুক্ত আছেন তিনি।জৈব সুরক্ষা বলয়ের কঠোর নিয়ম অনুসরণ করে চলছে না আন্তর্জাতিক সিরিজ। অলিম্পিকের মতো ম্যানেজড ইভেন্ট এনভায়রনমেন্ট (এমইই) নিয়মেই মানা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। যেখানে জরুরি প্রয়োজনে হোটেল ত্যাগের সুযোগ আছে সবার জন্য। অবশ্য পরে হোটেলে ফিরতে হলে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসতে হয়। এই নিয়মের সুযোগ নিয়েই টিম হোটেল ছেড়ে বাণিজ্যিক কাজে গিয়েছিলেন সাকিব। টিম ম্যানেজমেন্টও তাকে ছুটি দিয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট খেলার বিষয়টি স্পষ্ট করেননি সাকিব।যদিও বাঁহাতি অলরাউন্ডারের টেস্ট না খেলার কারণ দেখছেন না বিসিবি সভাপতি। গত সোমবার রাতে পাপন বলেছিলেন, ‘আইপিএলে ও যাচ্ছে না, তাহলে তো আমি কোনো কারণ দেখছি না দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট না খেলার। তাই এই চিন্তাটা মাথা থেকে ভুলে যান। আইপিএলের জন্যই যেতে চাচ্ছিল না। যেহেতু আইপিএল নাই সে খেলবে।