চকরিয়া পৌর শহরের সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ষ্ট্রোকজনিত এক প্যারালাইজ্ড প্রতিবন্ধী প্রকৃতির হাবা বোবা ও শান্তশিষ্ট তপন কান্তি তালুকদার নামে এ মানুষটি ১৬ দিন যাবৎ অসুস্থ অবস্থায় জেলেই মানবেতর দিন কাটালেন।অভিযোগ উঠেছে, বিনা অপরাধে কেবল সম্পত্তির লোভেই সুযোগে সোনা রঞ্জন দে নামের ভুমিদস্যুর কবলে পড়ে মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে জেল খাটল এ মানুষটি।মঙ্গলবার ১ আগষ্ট পর্যন্ত তপন তালুকদার কক্সবাজার জেলা কারাগারে শারিরীক অসুস্থতা নিয়েই বন্দি জীবনযাপন করলেন।ইতিপুর্বেও আরো বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলা করেও অসহায় এ লোকটিকে এবং তার পরিবার পরিজনকে বাড়ীঘর ছাড়া করার পায়তারায় স্থানীয় প্রভাবশালী হিন্দু নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে এক প্রকার জিন্মি করে কোনঠাসা করে রেখেছে তাদেরকে।এরিমধ্যে চকরিয়া পৌরসভায় তপন তালুকদার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ভুমিদস্যু সোনা রঞ্জন দে একটি নালিশী মামলা করলে, পৌরসভা কতৃপক্ষ দ্বি-পক্ষিয় মতামত ও স্বাক্ষ্য প্রমানে ন্যায় বিচার বাস্তবায়নের পথে থেকে একটি শালিসী রোয়েদাদ সৃষ্টি করে।তাও হিন্দু নেতা নামধারী কৃ-চক্রী মহলের প্ররোচনায় সোনা রঞ্জন দে এ ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তপন নামের ওই প্রতিবন্ধী লোকটির বিরুদ্ধে আদালতে একটি সাজানো চেক প্রতারনা মামলা দায়ের করে।অসহায় তপন তালুকদারের বাড়ী ভিটায় বিরুধীয় জমিতে সোনা রঞ্জনের ১ কড়া জমি আছে দাবী করলে, ওই জমি ক্রয়ের জন্য তপন উপরোক্ত চেকটি স্থানীয় হিন্দু নেতা তপন দাশের নেতৃত্বে দিয়েছিলেন তাকে।কারন তপন তালুকদার তার পরিবার পরিজন নিয়ে মাথা গোঁজাতেই দীর্ঘদিন ধরে কেবল মাত্র সাড়ে ৭ কড়া জমিতেই একটি বাড়ী নির্মান করার চেষ্টা করে আসছে।কিন্তু, নাছরবান্দা সোনা রঞ্জন দে, তপন তালুকদার দীর্ঘদিন যাবৎ তার ভাড়াটিয়া বাসায় থেকে আসছে, এ সুবাধে কিছুতেই তাদের বাড়ী নির্মান করতে দেবেনা সোনা রঞ্জন দে।একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে তপনের পরিবারের বিরুদ্ধে।বিদেশ প্রবাসী সোনা রঞ্জন দে।প্রকৃত বাড়ী পর্বত্য লামা উপজেলায় হলেও সে চকরিয়ায় গড়ে তুলেছে বেশ কয়েকটি অট্রালিকা।পা ঢুকিয়ে দে সব খানে।যেকানে ১ কড়া জমির বিরুধ সেখানেই তার নজর।কথা গুলো বলছিলেন তপনের পরিবার।নাম মাত্র মুল্য দিয়ে তৈরী করে সে জমির কাগজ।জবর দখলে প্রয়োজনে ব্যাবহারও করে ভাড়াটিয়া মাস্তান।নইলে ঠুকে দেয়া হয় মামলা।এ যাত্রায় জমি বিরুধের জেরেই চকরিয়া আদালতে ডাহা এ মিথ্যা চেকের মামলাটি করে সোনা রঞ্জন দে প্রকাশ সোনাইয়্যা।এ মামলায় প্রতিবন্ধী তপন আটক হয়ে পরে জেলেই কাটান জীবনের ১৬টি দিন।স্থানীয়রা জানান, জমির বেচা কেনা বা লেনদেন জনিত কারনে সু কৌশলে সোনা তপন থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকার একটি চেক নেয়।তাই কাজে লাগিয়ে মিথ্যা মামলাটি করে সে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোনা রঞ্জন বাদী হয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতেে সিআর ১১৮০/২৩ মামলাটি দায়ের করে ২৪ জুন।এরপর তপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।পরবর্তীকালে বিচারিক আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তপন।ফলে ওই মামলায় সে জেলে যায়।পরে ৩১ জুলাই বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ১ আগষ্ট তপন তালুকদার মুক্তি পান জেল থেকে।তপনের স্ত্রী কাজলী বলেন, এলাকার কোনো মানুষ বিপদে পড়লে ছুটে যেত তার স্বামী তপন।পাড়ার কেউ অসুস্থ হলে অথবা আহত হয়ে হাসপাতালে গেলে তার সঙ্গে সারাদিন পড়ে থাকত তপন।সহজ-সরল ও অসুস্থজনিত প্রতিবন্ধী প্রকৃতির হওয়ায় এলাকায় তার বিরুদ্ধে খারাপ কোনো প্রকার অভিযোগও নেই।জায়গা-জমির বিরোধের কারনেই তার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।সুত্র বলছে কেবল তপন নয়! তার স্ত্রী ও সন্তানকেও আসামী করে হেনস্থা করা হয়েছে।এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কাউন্তিলার জাফর আলম কালু ও এলাকাবাসীরা জানান, হাবাগোবা প্রকৃতির তপনের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী সোনা রঞ্জন সোনাইয়্যার সাথে বিরুধ হচ্ছে প্রতিবন্ধী তপনের কেনা সাড়ে ৭ কড়া জায়গায় অবৈধ উপায়ে সোনা রঞ্চন ১ কড়া জমি দাবী করে, ফলে বিরোধ চলছে উভয়ের মধ্যে।চেক প্রতারনা কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোটির সঙ্গে জড়িত নন তপন তালুকদার।তপনের স্ত্রী কাজলী বলেন,স্থানীয় হিন্দু নেতা তপন দাশঁ বৈঠকের মাধ্যমে তার স্বামী তপন থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকার উপরোক্ত চেক নিয়ে ১ কড়া জমির দাম হিসেবে লেনদেন মিটমাট করার চেষ্টায় তিনি তপন দাশঁ চেকটি নেন যা সোনা রঞ্জনকে দেয়া হয়।শেষে এ চেকই মামলায় কাল হয় তপনের পরিবারের।তপনকে যেতে হয় জেলে।এ ব্যাপারে চকরিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাফর আলম কালু আরও বলেন, তপন খুবই ভালো লোক।মিথ্যা মামলায় জেলে দিয়ে তার ওপর জুলুম করেছে সোনা রঞ্জন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চকরিয়া থানা পুলিশের এসআই রাজিব চন্দ্র সরকার আলোকিত চকরিয়াকে বলেন, ‘চেক প্রতারনার অপরাধে তপন নামে ওই লোকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে এবং আদালতে বিচারাধীন।অন্যদিকে সোনা রঞ্জন দে;র করা মামলায় স্বাক্ষী দেখানো হয় বিদ্যাপীঠ এলাকার ফার্মেসী ব্য্যাবসায়ী রুপন নাথকে তার অগোচরেই তাকে স্বাক্ষি করা হয় বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান।তিনি বলেন, তিনি সোনা রঞ্জনের দোকানের ভাড়াটিয়া।এ সুবাধেই তাকে স্বাক্ষী করা হয়েছে।অথচ, তিনি মামলার বিষয়ে জানেন না।সুত্র মতে, বিরুধীয় সাড়ে ৭ কড়া জমি তপন তালুকদারের সাফ কবলায় কেনা।এ নিয়ে সোনা রঞ্জনের শ্যালক লব দেবনাথ পিতা অরুন কৃঞ্চ নাথ সোনা রঞ্জনের দ্বিতী বউয়ের ভাই সে।ভোক্তভোগি তপনের স্ত্রী কাজলী বলেন, সব নাটের গুরু এ লব দেবনাথ।একের পর এক মামলায় ইন্দন এবং একদিন এ লব দেবনাথের নেতৃত্বে বিরুধীয় ওই জমি সোনা রঞ্জন জবর দখল করতে গেলে, এদিন রাতে খবর পেয়ে বিরধীয জমিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় বলে এলাকাবাসী জানান।ফলে জমি আর জবর দখল করতে পারেনি তারা।বিরুধীয জমির আন্দর সোনা রঞ্জন অবৈধ ভাবে তার ভুমিদস্যুতায় নিরীহ লোকজনের আরও ৬ কড়া জমি জবর দখল করে রেখেছে বলেও ভোক্তভোগিরা জানান।সুত্র জানায়, একই সাথে দুর্লোভের বশীভুত হয়ে তপন নামের এ প্রতিবন্ধীর জমিও জবর দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সোনা।অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, সোনা রঞ্জন বাদী হয়ে তপন তালুকদারকে আসামী করে চকরিয়া পৌরসভায় করা একটি নালিশী মামলায় দু পক্ষ থেকে পৃথক একরারনামা নিয়ে সুত্র স্মারক ২০২৩/ ৬৩২ মুলে শোনানী চলাকাীণ সময়ে, উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে চলমান একটি বিচারকে তোয়াক্কা না করেই সিআর ১১৮০/২৩ মামলাটি দায়ের করে সোনা রঞ্জন।পৌরসভার সুত্র ধরে জানা যায, ২৪ জুন ২৩ সালে মামলা করে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতেে।এর আগেও তাদের নামে আরও বেশ কয়েকটি মামলা করে বাদী।সব মামলা থেকেই তপন তালুকদার আদালত থেকে রায় ডিক্রী পান।মেয়র আলমগীর চৌধুরী প্রতিবন্ধী তপন কান্তি তালুকদারকে প্রত্যায়ন করে একটি পত্র আদালত বরাবর প্রেরন করলে এতেই অদালত তাকে জামিন দেয়।অথচ যে চেকটি জমি ক্রয়ের বাবদ দেয়া হয়, তা দিয়েই প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে মামলাটি করে সে।সুত্র মতে, কেবল ১ কড়া জমি ক্রয় করতে সামাজিকভাবে হিন্দু নেতাদের বিচারে সোনা রঞ্জনকে পূবালী ব্যাংক চকরিয়া শাখায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি চেক দেয় তপন তালুকদার।যা কাল হয় তার জন্য।এ চেক দিয়েই প্রতারনা মামলা করে সোনা রঞ্জন দে।এ চেকটিকে মামলার পুজিঁ করেই প্রতিবন্ধী প্রকৃতির ওই নিরীহ মানুষটিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটায় সে।এদিকে সোনা বাবু স্বিয় সনাতনী ধর্মীয় অনুশাসন লংঘন করা সহ তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও আরও নানা বিষয়ে অভিযোগ তুলছেন তপন তালুকদারের পরিবার পরিজন সহ ভোক্তভোগি অনেক মানুষ।সংবাদের বিশদ বিষয়ে আত্নপক্ষ সমর্থন সহ মামলার বাদী সোনা রঞ্জনের বক্তব্য নিতে তার বাড়ী এলাকায় গিয়ে প্রতিবেদক অনেক চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি।সুত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি সময়ে সোনা রঞ্জন দে আবারও বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে।