কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের খুটাখালী মেদাকচ্ছপিয়া অঙ্গীকার খেলার মাঠ সংলগ্ন পাহাড়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ২ যুগ আগেও এখানকার পাহাড়গুলো শতবর্ষী গর্জন গাছে ভরপুর ছিল। সব গাছ কেটে নিয়ে গেছে বনদস্যুরা। এখন বেশকটি পাহাড় ন্যাড়া অবস্থায় পড়ে আছে। বন বিভাগের উদ্যোগে এসব পাহাড়ে গাছের চারা লাগানো শুরু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেল থেকে পাহাড়গুলোতে লাগানো হচ্ছে হরীতকী, আমলকী, গয়রা, গর্জন, চাপালিশ, তেলসুর, বৈলাম, জাম, চাপাতুল, কৃষ্ণচূড়াসহ বিভিন্ন জাতের চারা গাছ। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রায় এক মাস সময়ে জেলার চকরিয়া, রামু ও কক্সবাজার সদর উপজেলার অন্তত ২০ হাজার একর বিরানভূমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ৫০ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ চারা রোপণ করা হবে বলে জানায় বন বিভাগ।চকরিয়া -পেকুয়া আসনের এমপি আলহাজ্ব জাফর আলম বিএঅনার্স এমএ প্রধান অতিথি হিসাবে একটি বনজ গাছের চারা লাগিয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। বৃক্ষরোপণ উদ্বোধনকালে আলহাজ্ব জাফর আলম বলেন, বিভিন্ন কারণে কক্সবাজার জেলা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। তাই বনভুমি রক্ষার্থে এবং পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব তৈরির জন্য গাছের চারা রোপণ করে তা সংরক্ষণের চেষ্টা করছে।এসময় কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার, দক্ষিণ বন বিভাগের বন কর্মকর্তা সারোয়ার আলম, সহকারী বন সংরক্ষক প্রাণ্তোষ চন্দ্র রায়, এসিএফ শীতল পাল, ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল কাদের চৌধুরী, মেদাকচ্ছপিয়া বিট কর্মকর্তা মোঃ আলা উদ্দীন সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।কক্সবাজার (উত্তর) বন বিভাগের বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, টেকসই বন সৃজন, জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার এবং হারিয়ে যাওয়া বন ফিরিয়ে আনতে এই বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। বন বিভাগের পরিত্যক্ত জায়গাতে সবুজ বনাঞ্চল গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। সবুজায়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দুই-তিন বছরের মধ্যে জেলাতে ন্যাড়া পাহাড় আর দেখা যাবে না।