কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নতুন মসজিদ এলাকায় ভোর রাতে মুদি দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, ফ্রিজ, সিগেরেটসহ প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এসময় মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়েছে দোকানি সিরাজুল ইসলামকে। এ ঘটনায় এলাকার ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম উদ্বেগ-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।বৃহস্পতিবার (১ জুন ) ভোর রাতে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড নতুন মসজিদের সামনে রিদুয়ান স্টোর মুদি দোকানে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।ডাকাতের প্রহারের আহত সিরাজুল ইসলাম (৪০) বর্নিত এলাকার শাহ আলমের পুত্র। তাকে চাকরির উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।লুটপাট করা মালামালের মধ্যে রয়েছে নগদ ৩ লাখ টাকা, চাল, তেল, মোবাইল মিনিট কার্ড, সিগারেট, সাবান, ফ্রিজ সহ বিভিন্ন সামগ্রী। এছাড়াও মুদি দোকানটির অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে পুরো দোকান ফাঁকা করে ফেলে ডাকাত দল। রাতে দীর্ঘ সময় ধরে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ও স্থানীয় গ্যাংগ্রুপ দোকানের মালিককে একা পেয়ে এসব সামগ্রী লুট করে নিয়েছে এমনতর ধারনা এলাকাবাসীর।ডাকাতির শিকার দোকান মালিক সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনের মতো গতকাল রাতেও তিনি দোকান বন্ধ করে ভিতরে ছিলেন। ভোর রাত ৪ টার দিকে দরজা খুলে প্রসাব করতে গেলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা সংঘবদ্ধ ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। মুখোশধারী ডাকাতদল তার দোকানের নগদ ৩ লাখ টাকাসহ চাল-ডাল, সিগারেট, তেল, সাবান, ফ্রিজসহ অন্যান্য দামী সব সামগ্রীই লুটপাট করে গাড়ী যোগে নিয়ে গেছে।এদিকে প্রধান সড়কের সাথে এবং মসজিদের সামনে মুদি দোকানটিতে বেপরোয়া লুটপাটের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। তারা দ্রুত ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।প্রসঙ্গত, উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের গর্জনতলী, পূর্ব গর্জনতলী ও সেগুন বাগিচা এলাকায় চোরচক্র, গ্যাংগ্রুপ, ছিনতাইকারী, ডাকাতদল ও মাদক কারবারীদের বিভিন্ন সিন্ডিকেট রয়েছে। পুলিশ বিভিন্ন সময় এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের অনেকের গ্রেফতার করলেও অপরাধ প্রবনতা কমেনি বরং দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। সড়ক ডাকাতি, গরু-ছাগল লুট, ছিনতায়, জিম্মি করাসহ নারীদের নিয়ে ফুর্তি বা ব্যবসাও করানো হয় কয়েকটি স্থানে। ঘটনা জানার পর পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন বা এখনও কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি।করিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, দুর্ধর্ষ চুরি-ডাকাতি যাই হোক অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং ঐ এলাকায় পুলিশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে।