চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মন্ডলপাড়া-ঘোনাপাড়া এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে আলোচিত বনখেকো ও পাহাড়খেকো নাছির কোম্পানীর মালিকানাধীন স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির মহোৎসবে মেতে উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ও যুবদলনেতা আব্দুর রহিম গং। একটি সূত্রে জানা যায়, কর্তনকৃত পাহাড়টি নলবিলা বনবিটের আওতাধীন। সাংবাদিকরা সরেজমিন গেলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, পাহাড় কাটার কারণে মাটির লেয়ার নরম হয়ে যেকোনো মূহুর্তে পাহাড় ধসে মাটি চাপায় মানুষের যানমাল ও ঘরবাড়ী ক্ষয়ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। অন্য দিকে পাহাড় কাটার কারণে এলাকার পরিবেশের মারাত্মকভাবে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পাহাড় কাটার কারণে এলাকায় একমাত্র চলাচলের পথটিও খানা খন্দকে সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। জানতে চাইলে পাহাড় কাটার সাথে জড়িত স্থানীয় যুবদল নেতা আব্দুর রহিম গং বলেন, তিনি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও’র কাছ থেকে লিখিত অনুমোদন নিয়েছেন। তবে কাগজ দেখে জানা যায়, একটি লিখিত আবেদন৷ তবে সে কাগজটিতে কোন সহি স্বাক্ষর নেই। মোস্তফা নামের একজন বলেন, আব্দুর রহিম বিএনপি-যুবদলের নেতা। তাদেরকে এলাকার মানুষ ভয় পান। পাহাড় কাটার বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার কেউই অবগত নন। তাহলে লিখিত অনুমোদন এটি মনগড়া। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান প্রতিবেদককে বলেন, পাহাড় কাটার জন্য অনুমোদন দেওয়ার কোন ধরনের এখতিয়ার আমার নেই। সে যদি আমাদের নাম ব্যবহার করে থাকে তাহলে সম্পূর্ণ তার মনগড়া। আপনাদের মাধ্যমেই বিষয়টি যখন জেনেছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঐ জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং পাহাড়কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, নলবিলা বনবিট কর্মকর্তা অবনি কুমারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাহাড় কাটার ব্যাপারে আমি অবগত নেই। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আগামীকালকেই আমরা ঐ জায়গায় অভিযান পরিচালনা করবো এবং পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে বন আইনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।