বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদ ১০ বছর দুই মাস পর বুধবার (২৮ আগস্ট) কক্সবাজারে ফিরেছেন। সকাল সাড়ে ১১টায় তিনি রাজধানী ঢাকা থেকে বিমানযোগে কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। বিএনপি নেতার সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে পুরো বিমানবন্দর এলাকায় মানুষের ঢল নামে।কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনকে বরণ করে নিতে সকাল থেকে দেশের শেষ প্রান্ত টেকনাফ, উখিয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, রামুসহ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা থেকেও গাড়িতে গাড়িতে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ লোকজন জড়ো হতে শুরু করে।দলীয় নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে মিছিলে মিছিলে সমবেত হন তাকে বরণ করতে। একপর্যায়ে বিমানবন্দর এলাকা ছেড়ে সৈকত শহরের প্রধান সড়কটি পর্যন্ত জনসমুদ্রে পরিণত হয়।বিমানবন্দর থেকে তিনি জেলা বিএনপি অফিস পরিদর্শনে যান। গত ৫ আগস্ট গদিচ্যুত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের আগুনে অফিসটি পুড়ে যায়।এরপর কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এবং রামু বাইপাস সড়ক মোড়ের পথসভায় বক্তৃতা করেন। তিনি পরে চকরিয়া উপজেলা সদর ও নিজ উপজেলা পেকুয়া স্টেডিয়ামের গণসংবর্ধনায় যোগ দিচ্ছেন।বিএনপির এই নেতা সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৪ জুন কক্সবাজার জেলা শহরে শ্রমিক দলের এক কর্মী সম্মেলন শেষে সেই যে রাজধানী ঢাকায় ফিরেছিলেন আর আসা হয়নি নিজ জেলা শহরে।সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৫ সালের ১০ মে রাতে রাজধানী ঢাকার উত্তরার একটি ভবন থেকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ‘গুম’ হন তিনি।দুই মাস একদিন পর ‘গুম রাজ্য’ থেকে মুক্ত হয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরের গলফ কোর্স ময়দানে উদ্ধার হলেও ফিরতে পারেননি নিজের মাতৃভূমিতে।ভারতে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা। সেই মামলা থেকে তিনি গতবছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি খালাস পান। টানা ৯ বছর শিলংয়ে অবস্থানের পর গত ১১ আগস্ট ফেরেন ঢাকায়।