কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পহরচাঁদায় সিএনজি চালককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আব্দুর রহমান (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে হারবাং ফাঁড়ি পুলিশ। ধৃত যুবক বরইতলী হাফালিয়াকাটা এলাকার সাহাব মিয়ার ছেলে। নিহত সিএনজি চালক মো. আরমান গত ৯ জুলাই উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা এলাকায় হত্যাকান্ডের শিকার হয়।শনিবার (১৯আগস্ট) দুপুর ৩টায় হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক নেতৃত্বে এসআই শামিম আল মামুন একদল পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক কাইছার হামিদের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আব্দুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।প্রসঙ্গত: চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা মাদ্রাসা ও সড়কের পাশে গত ১০ জুলাই সকালে স্থানীয় লোকজন অজ্ঞাত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৃতদেহটির শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৃতদেহের ছবিটি প্রকাশ পেলে পরে লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। সুত্র ও পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়, মৃত সিএনজি চালক চকরিয়া পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর কাহারিয়াঘোনা খোন্দকারপাড়ার বাসিন্দা মোঃ জকরিয়ার ছেলে। তার নাম মোঃ আরমান (২৩)। সে পেশায় একজন সিএনজি চালক।নিহতের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, ৮জুলাই (শনিবার) সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে আরমানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ রশি দিয়ে বেঁধে সড়কে ফেলে দেওয়া হয়েছিলো। পরে, ১০ জুলাই (সোমবার) সকাল ৭টার দিকে বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা গোল চত্বর এলাকা থেকে আরমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে এসে ময়না তদন্ত করে দাফন করেন। আমরা আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের সঠিক তদন্তপূর্বক বিচার দাবী করছি।
এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার চকরিয়া থানার মামলা নং ২১/৩২৭ তারিখ ১০ জুলাই ২০২৩ ইংরেজি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক কায়ছার হামিদ।