চকরিয়ায় আসামি ধরতে যাওয়া ৩ পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে অস্ত্র (শর্টগান) ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গুরুতর আহত পুলিশের তিন সদস্যকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের মহছনিয়াকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছিনতাই হওয়া অস্ত্র (শর্টগান) ঘটনার ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই শামীম আল হাসান, কনস্টেবল তরিফুল ও মামুন। তারা চকরিয়া থানার অধীনে হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশ সদস্য। এ হামলার ঘটনায় হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অপু দে বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে নারীসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। উক্ত মামলার এজাহারভুক্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন – বরইতলী ইউনিয়নের মহছনিয়াকাটার রাসকিন মো. হৃদয় (২১), ইব্রাহীম (২১), ইসমাইল (১৯), জনুয়ারা বেগম (৪০), কাজলী (৩৮) রোজিনা আক্তার (২৯), নুরুল আলম প্রকাশ নুরু (৪৭), মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন (২৬), রিফা আক্তার (২৫), হালিমা বেগম (৪৫), উর্মি জান্নাত (২১), হীরা জান্নাত (২৪), সিকান্দর (২১), রহমত আলী (৫২) ও নুরুল হোসেন প্রকাশ নুরু (৫৫)। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার (এসআই) রাজিব সরকার। তিনি বলেন, গতকাল রাতে হারবাং ফাঁড়ির এসআই শামীম আল হাসানের নেতৃত্বে কনস্টেবল তরিকুল ও মামুন বরইতলী ইউনিয়নের মহছনিয়াকাটা এলাকায় আসামি গ্রেফতারের জন্য অভিযানে যান। তারা সড়কে রাকিব নামের এক যুবককে তল্লাশি চালাতে চাইলে তিনি পালিয়ে কাছের একটি বাড়িতে ঢুকে চিৎকার শুরু করেন। যুবকের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এ সময় তারা পুলিশের কাছ থেকে একটি শর্টগান ছিনিয়ে নিয়ে যান। এসআই রাজিব সরকার আরও বলেন, এসআই শামীম, কনস্টেবল তরিফুল ও মামুনকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন তারা। এতে পুলিশের এক সদস্যের হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে থানা ও ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়। এখন তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ছিনতাই হওয়া শর্টগান আজ সকাল ৬টায় মহছনিয়াকাটা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসআই শামীমসহ দুই কনস্টেবলকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় নারীসহ ৫০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।