চকরিয়াTuesday , 29 March 2022
  1. Lead Post
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আজব খবর
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আলোকিত চকোরিয়া
  7. আলোকিত বন্ধু সমাবেশ
  8. আলোকিত বাংলাদেশ
  9. আলোকিত বিজ্ঞাপন
  10. আলোকিত মানুষ
  11. আলোকিত শিশু
  12. আলোকিত সংবাদ
  13. আলোকিত সাময়িকী
  14. ইসলাম ও ধর্ম
  15. কক্সবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আল্লাহই সর্বোত্তম তত্ত্বাবধায়ক

admin2
March 29, 2022 9:20 pm
Link Copied!

নভোমণ্ডল-ভূমণ্ডলের সবকিছু আল্লাহর নির্দেশে পরিচালিত আল্লাহতায়ালা নিজের জন্য যেসব নাম নির্ধারণ করেছেন, যেসব নামে তিনি সৃষ্টির কাছে নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন, এর মধ্যে হাফিজ ও হা-ফিজ নাম দুটি অন্যতম। তিনি আপন শক্তির মাধ্যমে সৃষ্টিজীবকে হেফাজত করেন। তিনি যদি সংরক্ষণ না করতেন, সব বিলীন হয়ে যেত। তাঁর সাহায্য ছাড়া সৃষ্টির শৃঙ্খলা বিঘœ হতো। একজন আরেকজনের ওপর সীমা লঙ্ঘন করত। নভোম-ল-ভূম-ল এবং এর মধ্যে যা কিছু রয়েছে, সব আল্লাহর নির্দেশে পরিচালিত হয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ? আসমান ও জমিনকে স্থির রাখেন, যাতে এ দুটো টলে না যায়। যদি টলে যায়, তবে তিনি ছাড়া কে এগুলো স্থির রাখবে?’ (সুরা ফাতির : ৪১)। আল্লাহ? নভোম-ল-ভূম-ল এবং এর মধ্যে যা কিছু আছে, তা সংরক্ষণ করেছেন, যাতে তাদের অস্তিত্বের নির্ধারিত সময়কাল পর্যন্ত তা স্থায়ী হয়। এগুলো সংরক্ষণ করা আল্লাহর জন্য অতি সহজ। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তাঁর সিংহাসন সব আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে। এগুলোর তত্ত্বাবধানে তাঁর মোটেও কষ্ট হয় না। তিনিই সর্বোচ্চ ও সর্বাপেক্ষা মহান।’ (সুরা বাকারা : ২৫৫)।সব সৃষ্টি আল্লাহর হেফাজতে রয়েছে সব সৃষ্টি তাঁর সংরক্ষণক্রিয়ার আওতাভুক্ত। মুহূর্তের জন্যও কোনো বস্তু আল্লাহর আশ্রয় থেকে অমুখাপেক্ষী নয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিটি বস্তুর সংরক্ষণকারী।’ (সুরা হুদ : ৫৭)। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে, সব একটি কিতাবে সংরক্ষিত। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘মাটি তাদের কতটুকু গ্রাস করবে, তা আমার জানা আছে এবং আমার কাছে আছে সংরক্ষিত কিতাব।’ (সুরা কাফ : ৪)। ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, আল্লাহতায়ালা বলেন ‘আমি জানি, জমিন তাদের দেহের কতটুকু অংশ গ্রাস করবে! দেহগুলো কোথায় কীভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে এবং কীসে পরিণত হবে! বান্দার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ফেরেশতা নিযুক্ত-আল্লাহতায়ালা তাঁর বান্দাদের সামনের ও পেছনের সব বিপদাপদ থেকে রক্ষা করার জন্য ফেরেশতা নিযুক্ত রাখেন। তারা আল্লাহর নির্দেশে বান্দাদের সব ধরনের অনিষ্ট থেকে হেফাজত করেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘প্রত্যেকের সামনে-পেছনে এমন প্রহরী (ফেরেশতা) নিযুক্ত আছে, যারা আল্লাহর নির্দেশে পালাক্রমে তার হেফাজত করে।’ (সুরা রাদ : ১১)। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, ‘এমন কোনো বান্দা নেই, যার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ফেরেশতা নিযুক্ত নেই। ফেরেশতা ঘুমন্ত ও জাগ্রত অবস্থায় বান্দাকে জিন, মানুষ ও সব ধরনের পোকামাকড়ের অনিষ্ট থেকে হেফাজত করে। যখন কোনো কিছু বান্দার ক্ষতি করতে অগ্রসর হয়, তখন ফেরেশতা তাদের বলে, পেছনে চলে যাও। তবে আল্লাহ যখন ক্ষতির নির্দেশ দেন, তখন সেটা বান্দার কাছে পৌঁছতে পারে।’আল্লাহর রক্ষণাবেক্ষণের কিছু চিত্র-আল্লাহ বান্দার সব কর্মকা- সংরক্ষণ করেন। বান্দার কোনো একটা কথাও আল্লাহর কাছ থেকে গোপন থাকে না। প্রত্যেক বান্দার জন্য আল্লাহ ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন। যিনি বান্দার আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও নাফরমানির হিসাব লিপিবদ্ধ করেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘প্রত্যেকের ওপর একজন তত্ত্বাবধায়ক রয়েছে।’ (সুরা তারিক : ৪)। বান্দার সব কর্মকা- ফেরেশতাদের কাছে সংরক্ষিত থাকে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘অবশ্যই তোমাদের ওপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে, সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ। তোমরা যা করো, তা তারা জানে।’ (সুরা ইনফিতার : ১০-১২)। নবী ও তাদের অনুসারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ হেফাজত ব্যবস্থা। তারা আল্লাহর বন্ধু। আল্লাহ তাদের সব ধরনের অনিষ্ট থেকে হেফাজত করেন। জিন ও মানুষ শত্রুর বিরুদ্ধে সাহায্য করেন। তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেন। যারা আল্লাহর আদেশ-নিষেধ পালনের মাধ্যমে তা হেফাজত করে, তারা যেখানেই থাকুক, আল্লাহ সর্বাবস্থায় তাদের সঙ্গেই থাকেন। তাদের ঘিরে রাখেন। সাহায্য করেন। তাদের দ্বীনকে সংশয়গ্রস্ততা ও প্রবৃত্তির তাড়না থেকে হেফাজত করেন। তাদের পার্থিব বিষয় সংরক্ষণ করেন। তাদের পরিবারকে হেফাজতে রাখেন। মৃত্যুকালে তাদের দ্বীনের হেফাজত করেন। ফলে তারা ঈমানদার অবস্থায় আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি আল্লাহর হেফাজত করো (আল্লাহ?র আদেশ-নিষেধ মেনে চলো), তাহলে আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করবেন। তুমি আল্লাহর হেফাজত করলে সর্বদা তাকে সামনে পাবে।’ (তিরমিজি : ১৯)। নবী ও নেককার বান্দাদের হেফাজত-নবীরা রবের পয়গাম পৌঁছে দিয়েছেন। আল্লাহর পছন্দনীয় দ্বীন প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ পথে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছেন। দিন দিন বহু কষ্ট-ক্লেশ সহ্য করেছেন। এ সময় তাদের আশ্রয়স্থল ছিলেন মহাসংরক্ষক আল্লাহতায়ালা। তাদের তিনি হেফাজত করেছেন। দ্বীন প্রচারে বিচ্যুতি থেকে বাঁচিয়েছেন। ইব্রাহিম (আ.)-কে এমন ভয়াবহ অগ্নিকু-লীতে নিক্ষেপ করা হলো; যেখানে সবকিছুই পুড়ে ভস্ম হয়ে যায়। এ অবস্থায় ইব্রাহিম (আ.) রক্ষাকারী আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখলেন। বললেন, ‘আল্লাহ আমার জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই সর্বোত্তম অভিভাবক।’ আল্লাহ ইব্রাহিম (আ.)-কে রক্ষা করলেন। আগুন তার জন্য ঠান্ডা ও আরামদায়ক হয়ে গেল।ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর নির্দেশে তার পিতা ইব্রাহিম (আ.) জবাই করার জন্য শুইয়ে দিলেন। তারা দু’জনই পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ করলেন। ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে পাওয়া তার রবের নির্দেশ পালন করলেন। ইসমাইল (আ.) পিতাকে বললেন, ‘আপনি তা-ই করুন, যা আপনার রবের পক্ষ থেকে আদিষ্ট হয়েছেন। আল্লাহর ইচ্ছায় আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’ (সুরা সাফফাত : ১০২)। এরপর রক্ষাকারী আল্লাহতায়ালা ইসমাইল (আ.)-এর স্থলে জবাইয়ের জন্য একটা দুম্বা প্রেরণ করলেন।হুদ (আ.) নিজ গোত্রে দ্বীনের দাওয়াত দিলেন। তারা প্রত্যাখ্যান করল। তাকে কষ্ট দিল। তিনি তখন মহাসংরক্ষক রবের আশ্রয় নিলেন। আল্লাহতায়ালা এ ঘটনা তুলে ধরে বলেন, ‘(হুদ বলল) তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে আমাকে তোমাদের প্রতি যে বার্তা দিয়ে পাঠানো হয়েছিল, আমি তো তা পৌঁছে দিয়েছি। আর আমার প্রতিপালক অন্য কোনো জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তার কিছুই বিগড়াতে পারবে না। নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক সবকিছুর রক্ষণাবেক্ষণকারী।’ (সুরা হুদ : ৫৭)। অর্থাৎ আল্লাহ আমাকে তোমাদের অনিষ্ট ও ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করবেন।ইউসুফ (আ.)-এর ভাইয়েরা ইউসুফ (আ.)-কে রক্ষা করার জন্য নিজেদের নিযুক্ত করার কথা বলেছিল। এ মর্মে তারা তাদের পিতার কাছে অনুরোধ করে বলেছিল, ‘আগামীকাল তাকে আমাদের সঙ্গে প্রেরণ করুনÑ তৃপ্তিসহ খাবে এবং খেলাধুলা করবে। আমরা অবশ্যই তার রক্ষণাবেক্ষণ করব।’ (সুরা ইউসুফ : ১২)। কিন্তু তারা ইউসুফ (আ.)-কে রক্ষণাবেক্ষণ করার পরিবর্তে ক্ষতি করেছে। পক্ষান্তরে ইয়াকুব (আ.) ইউসুফ (আ.) ও তার ভাইয়ের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা করলেন। বললেন, ‘আল্লাহ? উত্তম হেফাজতকারী এবং তিনিই সর্বাধিক দয়ালু।’ (সুরা ইউসুফ : ৬৪)। আল্লাহ? তাদের রক্ষা করেছিলেন। তাদের ইয়াকুব (আ.)-এর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ইউসুফ (আ.)-কে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের অধিকার রক্ষার জন্য নিযুক্ত করে দিলেন। ইউসুফ (আ.) নিজের সম্পর্কে বলেন, ‘(আমাকে দেশের ধনভান্ডারে নিযুক্ত করুন) আমি বিশ্বস্ত রক্ষক এবং অধিক জ্ঞানবান।’ (সুরা ইউসুফ : ৫৫)। এমন বহু নবীর ঘটনা কোরআনে উল্লিখিত রয়েছে। আল্লাহতায়ালা নবীদের অনুসারীদেরও হেফাজত করেন। ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, ‘রাসুল (সা.)-এর অনুসারীরাও আল্লাহর হেফাজত ব্যবস্থা থেকে অংশ পান। আল্লাহ তাদের রক্ষা করেন। সম্মান দান করেন। সাহায্য করেন। তবে এটি তাদের অনুসরণের মাত্রা হিসেবে বাস্তবায়িত হয়।’কোরআনের হেফাজত- মহাগ্রন্থ আল কোরআন সর্বশেষ ও সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। আল্লাহ এর সংরক্ষণ নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি স্বয়ং এ উপদেশগ্রন্থ অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই এর সংরক্ষক।’ ফলে মানুষের হাত এর কোনো পরিবর্তন-পরিবর্ধন করতে পারে না। এর মধ্যে কোনো কিছু যুক্ত করতে পারে না। কোরআনে বর্ণিত বিধিবিধান, সীমারেখা এবং আবশ্যকীয় বিষয়াদির মধ্যেও কোনো ধরনের কমতি করার সুযোগ নেই। এ গ্রন্থের প্রতিটি শব্দ এবং অর্থ সংরক্ষিত। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘এটি অবশ্যই এক সম্মানিত গ্রন্থ। এতে মিথ্যার প্রভাব নেই, সামনের দিক থেকেও নেই, পেছন দিক থেকেও নেই। এটি প্রজ্ঞাময়, প্রশংসিত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।’ (সুরা হা-মিম সাজদা : ৪১-৪২)। যখন আল্লাহ কোনো আসমানি কিতাবের সংরক্ষণের দায়িত্ব আহলে কিতাবের কাছে দিয়েছেন, তখন তারা এর মধ্যে পরিবর্তন-পরিবর্ধন করেছে। আসমান হচ্ছে জমিনে প্রেরিত আল্লাহর অহির দরোজা। আল্লাহ তাঁর কিতাবকে ফেরেশতা এবং সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ করেন। যাতে শয়তান কোনো কিছু চুরি করতে না পারে। আল্লাহ?তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজি দ্বারা সুশোভিত করেছি। প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে একে সংরক্ষিত করেছি।’ (সুরা সাফফাত : ৬-৭)।বান্দা আল্লাহর কাছে হেফাজতের দোয়া করবে-বান্দা আল্লাহর কাছে নিজের হেফাজতের দোয়া করবে। সে এর থেকে অমুখাপেক্ষী হতে পারে না। রাসুল (সা.) নিজেও সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর কাছে সব বিষয়ের নিরাপত্তার জন্য দোয়া করেছেন। দোয়ায় বলতেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে সামনে-পেছনে, ডানে-বামে, ওপর-নিচ সব দিক থেকে সুরক্ষিত রাখুন। আমি আপনার মহত্ত্বের কাছে আশ্রয় চাই। যেন অনাকাক্সিক্ষতভাবে পেছন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত না হই।’ (সুনানে আবি দাউদ : ৫০৭৪)। অর্থাৎ আমাকে জিন, মানবজাতি ও পোকামাকড়ের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষিত রাখুন এবং শয়তানের অনিষ্ট থেকেও; যে বলেছিল, ‘এরপর তাদের কাছে আসব তাদের সামনের দিক থেকে, পেছন দিক থেকে, ডান দিক থেকে এবং বাম দিক থেকে। আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন না।’ (সুরা আরাফ : ১৭)। আমাকে আপনার অবতরণের উপক্রম বিপদ থেকে রক্ষা করুন। রক্ষা করুন সব ধরনের শাস্তি থেকে।আল্লাহর সুরক্ষা মানুষের সুরক্ষার তুলনায় অধিক পরিপূর্ণ-যে ব্যক্তি আল্লাহর দেওয়া সীমারেখা মেনে তিনি যা আদেশ করেছেন, তা আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করে, তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমাদের প্রত্যেক অনুসারী ও স্মরণকারীকে এরই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।’ (সুরা কাফ : ৩২)। আল্লাহ? মহান। তিনি গোটা বিশ্বকে রক্ষণাবেক্ষণ করেন। মানুষের স্বাভাবিক নিয়ম হলো, যে তার রক্ষণাবেক্ষণ করে, তাকে সে ভালোবাসে। যেহেতু আল্লাহ আমাদের সুরক্ষিত রাখেন, তাই তিনি ভালোবাসা ও আনুগত্য পাওয়ার বেশি যোগ্য। যে ব্যক্তি তার সব কর্মকা-ের ব্যাপারে আল্লাহর পর্যবেক্ষণ অনুভব করতে পারে, সে সর্বদাই আল্লাহর পর্যবেক্ষণের বিষয়টি মাথায় রাখবে। যে ব্যক্তি এ বিশ্বাস স্থাপন করেছে, আল্লাহই সবকিছুর রক্ষণাবেক্ষণকারী এবং তাঁর সুরক্ষা মানুষের সুরক্ষার তুলনায় অধিক পরিপূর্ণ, সে তার দ্বীন, মাল-সম্পদ, পরিবার-পরিজন সব ব্যাপারে আল্লাহর সুরক্ষার ওপরই ভরসা করবে। একজন মানুষ নিজেকে রক্ষা করার জন্য আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন এবং তাঁর আনুগত্য করার পথ অবলম্বন করে। আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করলে তিনি তা অবশ্যই সংরক্ষণ করেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনার পালনকর্তা সব বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক।’ (সুরা সাবা : ২১)।

মুল–শায়খ ড. আবদুল মুহসিন বিন মুহাম্মদ আল কাসিম প্রদত্ত শাবান ১৪৪৩ হিজরি মোতাবেক মদিনার মসজিদে নববির জুমার খুতবার সংক্ষিপ্ত ভাষান্তর করলেন-        আল মামুন নূর।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।