চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বিভিন্ন পরিবহনের গতিরোধ করে গণ-ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। গতকাল ২৩ এপ্রিল ভোররাত ৪টার দিকে মহাসড়কের বরইতলী আলমনগর রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতির খবর পেয়ে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ডিউটিরত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে বলে জানা যায়। এসময় হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এএসআই সোলায়মান খাঁন ও স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল খালেক পুতুসহ ২জন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত। ডাকাতির শিকার প্রবাসী পরিবার ও সিএনজির যাত্রী জুলফিকার আলী ভূট্টো অভিযোগের সুরে বলেন, ডাকাতের কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য চিৎকার দিলে ৩০০গজ অদূরে থাকা হাইওয়ে থানা পুলিশের কোন সদস্য এগিয়ে আসেনি। এসময় জুলফিকার আলী ভূট্টো আরো জানান, ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার দীর্ঘ ১ঘন্টার পর চকরিয়া থানাধীন হারবাং পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ (আইসি) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে আসেন। আসার তাদের কর্তব্য সম্পর্কিত নানান প্রশ্ন উঠলে তিনি জবাবে উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, মহাসড়কের ডাকাতি রোধে হাইওয়ে পুলিশরে দায়িত্ব রয়েছে। তারা দায়িত্ব পালন না করে অন্য কাজে ব্যস্ত থাকে। সব দায়িত্ব এবং কর্তব্য তো শুধু আমাদের না। ওই সময়, হাইওয়ে পুলিশ অন্য কি কাজে ব্যস্ত থাকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই জানে আমাকে কেন প্রশ্ন করছেন? স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত ১৫ বছরের ভিতর এতোবেশি মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি যতোটা গত কয়েক মাসে হয়েছে। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী’র কাছে মহাসড়কে ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি জানার পর পরই পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করি। ডাকাতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেশীয় তৈরি এক নলা একটি এলজি উদ্ধার করা হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডাকাত দলের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ