ভঙ্গুর ও বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (ফিশারিঘাট) অবশেষে পুনর্নির্মাণ হতে যাচ্ছে। যাতে ব্যয় হবে ২৩২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ।গত ২৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ-একনেক সভায় এই প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়।প্রকল্পের ১৬৫ কোটি টাকা দেবে জাপানের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা (জাইকা)। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে হবে বলে জানানো হয়। এরই মধ্যে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের সাথে জাইকার এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।এই চুক্তির আওতায় ফিশারিঘাটের অবকাঠামো উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা, বিশুদ্ধ পানি ও কোল্ড স্টোরেজের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।জরাজীর্ণ ও মেয়াদোত্তীর্ণ ফিশারিঘাট পুনর্নির্মাণ প্রস্তাব পাশ হওয়ার খবরে খুশি মাছ ব্যবসায়ীরা। তবে দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি তাদের।কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও পাইকারি মৎস্য বাজারের ব্যবস্থাপক মো. বদরুদ্দোজা জানান, ফিশারিঘাট পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের কাজ আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে শুরু করা যাবে। আর পুরো নির্মাণ কাজ শেষ হতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।বছরে প্রায় ৫০০-৭০০ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয় কক্সবাজার ফিশারিঘাটে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে এই ঘাট থেকে।তবে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগে থাকা মাছ ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা দ্রুত এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন চান। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কক্সবাজার ফিশারিঘাট আধুনিক ও উন্নত একটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে পরিণত হবে।