বাঁশখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী ফাতেমা তাবাসসুম তাসফিয়া (১৩) ইন্তেকাল করেছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ৩টা ১০ মিনিটে সে ইন্তেকাল করে (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।ফাতেমা বাঁশখালী মিনজিরীতলা নিবাসী শাহসূফী মোজাহের আহমদ (রাহ.)’র নাতনি ও মাওলানা সফিক উল্লাহর প্রথম কন্যা।দীর্ঘ ৩ বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল সে।আজ বৃহস্পতিবার বাদে জোহর মিনজিরীতলা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় মাঠে মাওলানা হারুনুর রশিদ নূরীর ইমামতিতে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।জানা গেছে, ফাতেমা প্রথম শ্রেণি থেকে ষষ্ট শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জনসহ বহু কৃতীত্বের অধিকারী ছিল। অসুস্থতাকালীন সময়েও তার জ্ঞানস্পৃহা ছিল লক্ষ্যণীয়। চিকিৎসাকালীন সময়ে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে তার ডান পা কেটে ফেলা হয়। এভাবে দীর্ঘ চিকিৎসায় প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়েও তাকে মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকে রক্ষা করা গেল না।তার চিকিৎসায় সবসময় সহায়তা করেছেন অধ্যাপক মুনিরুল ইসলাম আশরাফী, মাস্টার ছালেহা বেগম, পুলিশ কর্মকর্তা মাইনুল হক মনুসহ অনেকে।সে আ’লা হযরত ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’র প্রচার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল নোমানের ভাগ্নী।এদিকে, তার মৃৃত্যুতে আ’লা হযরত ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’র সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম রিজভী, সেক্রেটারি আ.ন.ম তৈয়্যব আলী, অর্থ সম্পাদক এরশাদ খতিবী গভীর শোক প্রকাশ করেন। অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক মুনিরুল ইসলাম আশরাফী, মাওলানা ছগীর আহমদ আল-কাদেরী, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মাওলানা আশেকুর রহমান আল-কাদেরী, মাওলানা হেলাল উদ্দীন, মাওলানা রাশেদুর রশিদ, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ প্রমুখ গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।