আমি সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। আখাউড়া পাকিস্তানীদের দখলে ছিল। আখাউড়া মুক্ত করতে পাঁচদিন যুদ্ধ করেছি। প্রাণপণ যুদ্ধ হয়। যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু আমরা ৫ জনকে খেতাব দেন। আজ বঙ্গবন্ধু নেই, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধারা আছে।শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতিক এসব কথা বলেন।চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ মিলনায়তনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএম সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ স্মৃতিচারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, চকরিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিজস্ব কোন অফিস নেই। বিষয়টি জেনে আমি ব্যথিত। আগামীতে চকরিয়া-পেকুয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অফিস নির্মাণের চেষ্টা করব।স্মৃতিচারণ সভায় চকরিয়া-পেকুয়ার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারের সদস্যদের জন্য উপহার হিসেবে উত্তরীয় প্রদান করা হয়।