বিএনপি-জামায়াতের টানা ৩ দিনের অবরোধের প্রতিবাদে চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ এবং জাতীয় শ্রমিকলীগ চকরিয়া উপজেলা শাখার সহসভাপতি মোঃ মিরানের নেতৃত্বে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ, সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দলীয় নির্দেশনা অনুুসারে রাজপথে এ অবস্থান নেন হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। হারবাংয়ের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছিলেন সতর্ক প্রহরায়। এ সময় বিএনপির অবরোধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশও করছে দলটির নেতা-কর্মীরা।গতকাল মঙ্গলবার বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৩ দিনের অবরোধের প্রথম দিনও রাজপথ ছিলো মূলত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দখলে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির প্রথম দিনে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম বিএ(অনার্স)এমএ এর নির্দেশনায় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ এবং জাতীয় শ্রমিকলীগ চকরিয়া উপজেলা শাখার সহসভাপতি মোঃ মিরানের নেতৃত্বে ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর চৌধুরী ও তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা তানভীর আহমেদ সিদ্দিক তুহিনসহ উপজেলা, পৌরসভা, ও ইউনিয়নের বেশকিছু নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে হারবাং বাস স্টেশন এলাকায় এক বিশাল মিছিল ও সমাবেশ পালিত হয়। সকালে এসব নেতাকর্মীরা হারবাং বাস স্টেশন এলাকায় অবস্থান নেন। দিনভর সেভাবে ছিল দলটির নেতা-কর্মীদের অবস্থান। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংখ্যাও বেড়েছে।এ সময় চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা জানান, জনগণের জানমাল রক্ষায় এবং যে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড রুখতে তারা মাঠে আছেন। সতর্ক পাহারার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।অন্যদিকে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ১৭ কোটি মানুষকে অবরুদ্ধ করে এই কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। আমি মনে করি, এটা পাগলামি ছাড়া আর কিছুই না। এটা সম্পূর্ণভাবে বিকৃত মস্তিষ্কের কাজ, সম্পূর্ণভাবে একটা উন্মাদনা। তিনি আরো বলেন, তাদের এই দূর্বৃত্তায়নের রাজনীতি থেকে জনগনের জানমালের নিরাপত্তার জন্য শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, জনগনকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে থাকার জন্য। আমরা রাজপথে আছি এবং রাজপথেই থাকবো।অন্যদিকে, জাতীয় শ্রমিকলীগ চকরিয়া উপজেলা শাখার সহসভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ মিরান জানান, সাধারণ মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আমরা মাঠে আছি। বিএনপিকে জ্বালাও-পোড়াওয়ের আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। বিএনপি নাশকতার নামে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে চায়। তারা দেশকে একটি অস্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে যেতে চায়। আমরা তাদের এই সহিংসতার বিরুদ্ধে, জনগণের জানমাল রক্ষায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। সতর্ক পাহারায় আছি।