চকরিয়া উপজেলায় ৪৭৭ জন উপকারভোগীর মাঝে তিন জাতের চারা বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের পূর্ব বানিয়ারকুম গ্রামে এসব ফলজ ও সবজির চারা বিতরণ করা হয়।জার্মান সংস্থা ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফের অর্থায়নে এনজিও আনন্দ ও সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনোমিক ইনহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রাম (সিপ) এসব চারা বিতরণ করেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আরিফ উদ্দিন।আনন্দের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুমন পালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. অছিউর রহমান, উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আজিজ, সিপের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন (মিল) কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান প্রমুখ।জলবায়ু সহনশীল জীবকায়ন ও দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কার্যক্রমের মাধ্যমে খাদ্য এবং পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রকল্পের আওতায় কৈয়ারবিল ইউনিয়নে ৪৭৭ জন কৃষককে তিন জাতের ফলজ ও সবজির পেঁপে, বেগুন ও মরিচের চারা বিতরণ করা হয়।চারা পেয়ে খুশি মর্জিনা বেগম। তিনি বলেন, তিন জাতের ফলজ ও সবজির চারা বাড়ির পাশে পতিত জমিতে রোপন করব। এর আগেও আমাদের আম ও পেয়ারার চারাসহ ৫ জাতের সবজির বীজ দিয়েছিল এনজিও আনন্দ এবং সিপ। বিনামূল্যে এসব বীজ পাওয়ার পর বাড়ির পুষ্টির চাহিদা মিটছে।চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন বলেন, বাড়ির আঙিনায় ফল ও শাকসবজি চাষ করে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা যায়। গ্রামে সকলের চাষ করার সুযোগ আছে, বাড়ির পাশে পতিত জমিতে কয়েক জাতের ফলের চারা ও সবজির আবাদ করলে অন্তত কয়েকমাস পরিবারে সবজির চাহিদা পূরণ হবে।প্রধান অতিথির বক্তব্যে চকরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আরিফ উদ্দিন বলেন, বাড়ির আঙিনা ও পতিত জমিতে চাষ করলে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করা যায়। এতে উপকারভোগীরা দুই দিক দিয়ে লাভবান হচ্ছেন।