চকরিয়ায় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে ঘিরে ১৫ আগস্ট বিকেলে সংঘর্ষের সময় আওয়ামীলীগ যুবলীগেরে পক্ষ থেকে কোন অস্ত্রবাজি করা হয়নি দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামীলীগ যুবলীগ নেতৃবৃন্দ।। নেতারা বলেন, জামায়াত শিবির ও বিএনপি এদিন পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলা ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করার খবর পেয়ে, বিকেল সাড়ে চারটার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তি মিছিল করে। চকরিয়া পৌরশহরের মহাসড়কে।কিন্তু তার আগেই মহাসড়ক থেকে আধ কিলোমিটার দূরে বায়তুশ শরফ সড়কের মাঝামাঝি স্থানে ফোরকানুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে দুর্নৃত্তরা। সেই হত্যাকান্ডকে আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দিয়ে শান্ত চকরিয়াকে অশান্ত করার মিশনে নেমেছে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌরশহরের চিরিঙ্গা জনতা মার্কেটস্থ উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে দলটির পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা আওয়ামী লীগের নেতারা।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পুরোনো একটি ছবিকে এডিটেড করে ঘটনার পর দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াতেরই একটি মিডিয়া সেল। এমনকি কিছু প্রচার মাধ্যমে সেই ছবিকে সত্য ধরে নিয়ে এবং অস্ত্র তাক করা ব্যক্তিটি পৌর যুবলীগের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি বেলাল উদ্দিনের বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ ওই ব্যক্তি কোনভাবেই বেলাল উদ্দিন নন। এই অবস্থায় বেলাল উদ্দিন নিজে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের জীবনহানির শঙ্কা দেখা দিয়ে দিয়েছে বলে দাবী করা হয়।লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ওইদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে পুরো চকরিয়ায় নানা কর্মসূচী নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। বিকেল চারটার দিকে খবর পান আল্লামা সাঈদীর গায়েবানা জানাজা ঘিরে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি চালাচ্ছে। তখন ফোরকানুল ইসলাম হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়। এর পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তি মিছিল নিয়ে মাঠে নামলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন দাবী করে, ওইদিন সে পৌরশহরের চিরিঙ্গার শান্তি মিছিলেও উপস্থিত ছিলনা। মূলত সকাল থেকেই হলুদ পাঞ্জাবী ও সাদা পায়জামা পরে সে চিরিঙ্গা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে গ্রীণ ভ্যালী কমিউনিটি সেন্টারে ছিল। যেখানে শোক দিবস উপলক্ষে গণভোজের আয়োজন চলছিল।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনসহ গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বশিরুল আইয়ুব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর চৌধুরী, ফরিদুল আলম, হুমায়ুন কবির, আরিফ মঈনুদ্দীন রাসেল প্রমুখ।