কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় শালিসী বৈঠকে অর্তকিত অবস্হায় প্রতিপক্ষের বেদড়ক মারধরে নারী সহ ৪জন লোক গুরুত্বর আহত হয়েছেন।শনিবার (২০ মে) সকাল ১১টার দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বালুরচর এলাকার রফিকুল আলমের বসতবাড়ীর উঠানে এ ঘটনা ঘটেছে।আহতরা হলেন ওই এলাকার রফিকুল আলম(৫৫) ও তার ছেলে-শাহজান(২৫),সাজিয়া জান্নাত(১৯) সহ মৃত নুরুল আলমের ছেলে মাঈন উদ্দিন(২৮)।আহত রফিকুল আলম প্রতিবেককে জানান,আমার পৈত্রিক বসতভিটা ভাগ বন্টনের জন্য মেম্বার ফখরুদ্দিন,রিয়াজ উদ্দিন শিপু ও শফিকুর রহমান সহ স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শালিসী বৈঠকে বসেছেন।বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সার্ভিয়া নিয়ে পরিমাপের কাজ চালাচ্ছেন।এমতাবস্থায় আমার বড়ভাই বদিউল আলম আর ভাতিজা ইসমাইলের নির্দেশে তারা সহ আলী আহমদ,সালেহ আহমদ,আব্দুর রহিম,আব্দুর রশিদ,হারুনুর রশিদ,মামুনুর রশিদ,সাইফুল ইসলাম,আব্দু শুক্কুর মিলে শক্ত গাছ,বাঁশ দিয়ে আমাদেরকে মারধর করেছেন।এতে আমার ছেলে শাহজান,সাজিয়া জান্নাত ও ভাতিজা মাঈন উদ্দিন গুরুত্বর আহত করেন।এমতাবস্থায় হামলাকারীরা আমার ও ছেলের মোবাইল সহ সাড়ে ৩৬হাজার পকেট থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন।যা উপস্হিত সকলই দেখেছেন।পরে উপস্হিত তিন মেম্বার আর গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠালে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ করি।ঘটনার বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,বদিউল আলম সহ তার ছেলেদের বিরুদ্ধে এধরণের ঘটনা রটানোর বিষয়ে থানা কিংবা আদালতে আরো ২/৩ মামলা করা হয়েছিল।যা পরবর্তিতে স্হানীয়ভাবে আপোষ-মিমাংসা করা হয়েছে।এখন তাদের সাথে ইসমাইল জড়িত হলে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে যায়।
ঘটনা স্বীকার করে বদিউল আলম জানান,আমাদের পৈত্রিক বসতভিটা ভাগবন্টের বৈঠক শেষে পরিমাপ করাকালে একটি খুঁটি পুতা নিয়ে তর্কাতর্কি অবুঝ ছেলেরা হাতিহাতি দিয়েছেন।এমতাবস্থায় আমরা দৌঁড়ে এসে ফাঁক করে দিয়েছি।এখন উপস্হিত মেম্বার আর গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যে ফায়সালা দিবে তা মেনে নিব।
শালিসী বৈঠকে উপস্হিত থাকা মেম্বার ফখরুদ্দিন,শফিকুর রহমান ও রিয়াজ উদ্দিন শিপুরা বলেন,রফিকুল আলম, বদিউল আলম আর নুরুল আলমের পৈত্রিক বসতভিটার পরিমাপকালে বদিউল আলম আর নুরুল আলমের ছেলেরা মাথা গরম করে রফিক সহ তার ছেলে,মেয়েকে বেদড়ক মারধর করে আহত করেছেন।এবিষয়ে তারা আমাদের বিচার মানলে মানবে।না মানলে থানা,আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিব বলে জানান।