বিনা কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে দোকান ভাংচুর ও পথচারীকে ধরে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় একজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে এই ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের পেকুয়া বাজারের জেনারেল হাসপাতালের সামনে। আহত পথচারীর নাম মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বাবু।ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. বাচ্চু বলেন, আমার দোকানটি হাসপাতালের ক্যান্টিন। হাসপাতালে রোগীর ভিড় থাকলে প্রায় সময় দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হয়। শনিবার রাত দেড়টায় আমি দোকান বন্ধ করছিলাম। ওইসময় পেকুয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শেখ ফরিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে আমার দোকানে ভাংচুর শুরু করে। আমি বাধা দিতে চাইলে আমাকেও মারধর করেন।মারধরের শিকার পথচারী যুবক আব্দুল মান্নান বাবু বলেন, বন্ধুদের সাথে বিশ্বকাপের খেলা দেখে আমি টৈটং ধনিয়া কাটার বাড়িতে ফিরতে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এসময় অতর্কিতভাবে পুলিশ এসে আমাকে চোর বলে পেটাতে শুরু করে। পেকুয়া জেনারেল হাসপাতালের পূর্বপাশে এ ঘটনায় আশেপাশের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা হতভম্ব হয়ে পড়ে। পরে কয়েকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। লাঠি লোহার রডের পিটুনিতে আমার পুরো শরীর থেতলে গেছে। পেকুয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শেখ ফরিদ, নাজমুল ও এএসআই আব্দুর রব সহ ৮-১০ জন পুলিশ কনস্টেবল আমাকে মারধর করে। এসময় আমার পকেটে থাকা পাঁচ হাজার টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়।তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন পেকুয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শেখ ফরিদ। পূর্বকোণকে তিনি বলেন, সম্প্রতি পেকুয়াজুড়ে চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে টহল বাড়ানো হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে আমরা টহলে গেলে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাফেরা করা যুবকদের ধমক দিয়ে বাড়ি পাঠানোর চেষ্টা করছি। গভীর রাতে খোলা থাকা দোকানপাট বন্ধ করা হয়। কাউকে মারধর, ভাংচুর করা হয়নি।জানতে চাইলে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া পেকুয়া সার্কেল) তফিকুল আলম বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে পথচারী যুবককে মারধর ও দোকান ভাংচুরের অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।