চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ৩নং ওয়ার্ডের শীতারখীল এলাকায় নির্বাচনী প্রতিহিংসার শিকার মাতামুহুরী নদী থেকে পাওয়া নিহত শফিউল আলম (২৮) এর লাশ উদ্ধারের পর আদালতে দায়েরকৃত মামলার এক মাস পুর্ণ হল। ঘটনার এক মাস পরেও এজাহারভুক্ত কোনও আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। মামলা তুলে নিতেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত শফিউল আলমের পরিবার। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ আগষ্ট রাতে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সীতারখীল গ্রামে সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শফিউল আলমকে হত্যা করে এমইউপি এনামুল হক গংরা।পরে আইনি ঝামেলা এড়াতে সেদিন রাতে জুয়ার আসর থেকে জুয়াড়িদের পুলিশের ধাওয়ার নাটক সাঁজান এমইউপি এনামুল হক। তারও পরে ২৮ আগষ্ট বিএমচর ইউনিয়নের মাতামুহুরি নদীর কইন্যারকুম নামক স্থান থেকে গলায় ও মুখে রশি প্যাচানো অবস্থায় শফিউল আলমের নিতর দেহ পুলিশ ও স্থানীয় জনতা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত শফিউল আলমের বোন মরিয়ম বাদী হয়ে ২৯ আগষ্ট ২০২২তারিখে চকরিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এমইউপি এনামুল হককে ১ নং আসামি করে যথাক্রমে মোজাম্মেল, কামাল চৌকিদার, নাজেম উদ্দিন, তৌহিদুল ইসলামসহ মোট ৫জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। নিহতের বোন মরিয়ম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ভাইকে তো ফিরে পাবো না। কিন্তু মামলার এক মাস পার হলেও পুলিশ কোনও আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তিনি দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাতামুহুরি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে সেটার ভিত্তিতে আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।