চকরিয়াSunday , 18 September 2022
  1. Lead Post
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আজব খবর
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আলোকিত চকোরিয়া
  7. আলোকিত বন্ধু সমাবেশ
  8. আলোকিত বাংলাদেশ
  9. আলোকিত বিজ্ঞাপন
  10. আলোকিত মানুষ
  11. আলোকিত শিশু
  12. আলোকিত সংবাদ
  13. আলোকিত সাময়িকী
  14. ইসলাম ও ধর্ম
  15. কক্সবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শিমু হত্যায় স্বামী সহ ২জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

Link Copied!

পারিবারিক কলহে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা মামলায় স্বামী খন্দকার সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ওয়াই আবদুল্লাহ ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে চিত্রনায়িকা শিমুকে খুন করেন তার স্বামী নোবেল। আর এই খুনে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেন তার বন্ধু ফরহাদ।অভিযোগপত্র আরও বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের আলামত নষ্ট করতে নোবেলকে সহায়তাও করেছেন তাঁর বন্ধু ফরহাদ। অভিনেত্রী শিমু কলাবাগানের বাসা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর গত ১৭ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে তাঁর বস্তাবন্দী মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর শিমুর ভাই হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় তাঁর স্বামী নোবেল ও বন্ধু এস এম ওয়াই ফরহাদসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।আজ অভিযোগপত্র গ্রহণ সংক্রান্ত শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার বাদীর কোন আপত্তি না থাকায় শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে আদেশ দেন। নথি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারের জন্য নথিটি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করবেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়। পরে তারা পৃথক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দেন।জবানবন্দিতে নোবেল বলেন, ঝগড়ার পর তিনি তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। নোবেল সারা রাত লাশের সঙ্গেই ছিলেন এবং পরদিন সকালে তার বন্ধু ফরহাদকে গ্রীন রোডের বাড়িতে ডাকেন। পরে বন্ধুর সহায়তায় নোবেল কেরানীগঞ্জে লাশ ফেলে দেন।যেভাবে খুন করা হয় তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, এ বছর ১৬ জানুয়ারি সকাল সোয়া ৮টায় নোবেলের বাসায় যান তার বন্ধু ফরহাদ। প্রথমে শিমুর সঙ্গে দেখা হয়। শিমু ফরহাদকে ড্রয়িং রুমে বসতে দিয়ে নোবেলকে জানান। নোবেল নিজে রান্না ঘরে গিয়ে চা বানান।এদিকে শিমু বেডরুমে মোবাইল নিয়ে বসেছিলেন। নোবেল মোবাইল দেখতে চান। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নোবেল ফরহাদকে ডাক দিয়ে বলেন, ‘শিমুকে ধর ওকে আজ মেরেই ফেলব।’ফরহাদও বেডরুমে যান। ফরহাদ শিমুকে ধরতে গেলে ধাক্কা ধাক্কি হয়। নোবেল শিমুর দিকে তেড়ে যান। দুজনই শিমুকে ধরে ফেলেন। ফরহাদ শিমুর গলা ধরেন। নোবেল দুই হাত ধরেন। শিমু পড়ে যান। নোবেল শিমুর গলায় পা দিয়ে দাঁড়ান। একপর্যায়ে শিমু নিস্তেজ হয়ে পড়েন।ফরহাদ জানান, শিমু বেঁচে নেই। রান্না ঘর থেকে দুটি পাটের বস্তা এনে দুজনে মিলে শিমুর মরদেহ বস্তায় ঢুকান। এরপর প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বস্তা সেলাই করে নোবেলের গাড়ির পেছনের সিটে ওঠান। পরে কেরানীগঞ্জের আলীপুর ব্রিজের পাশে একটি ঝোপে বস্তা ফেলে দিয়ে আসেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।