চকরিয়ায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার খুটাখালীতে এ ঘটনা ঘটে। আজ (শনিবার) বেলা ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্ত্রী পারভীন আক্তার। এরপর স্থানীয়রা স্বামী মো. সোহেলকে (২৭) ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। নিহত পারভীন আক্তার চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেধা কচ্ছপিয়ার মোখলেছুর রহমানের মেয়ে। আটক স্বামী সোহেল কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের মফিজ আহমদের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, রামুর সোহেলের সঙ্গে চকরিয়ার পারভীনের বিয়ে হয় এক বছর আগে। তারা প্রথমে পারভীনের বাবার বাড়িতে থাকত। চার মাস আগে খুটাখালী বাজার সংলগ্ন শুক্কুর ড্রাইভারের কাছ থেকে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। সোহেল বাজারে ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন। তাদের সংসারে কোনো সন্তান নেই। জানা গেছে, গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্বামী সোহেল স্ত্রী পারভীনের তলপেটে লাথি মারে। এসময় রক্তক্ষরণ শুরু হলে স্বামী ঘর থেকে বের হয়ে চলে যায়। পরে পারভীনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পর শনিবার বেলা ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় পারভীন। এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে পারভীন মারা যাওয়ার খবর শুনে স্থানীয়রা স্বামী সোহেলকে ধরে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে। ওসি আরও বলেন, নিহত পারভীনের মরদেহ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত করা হবে। আটক সোহেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।