সাধারণত দুর্ঘটনা কমাতে সড়কে স্পিড ব্রেকার (গতিরোধক) তৈরী করা হয়। সেগুলোও আবার নির্দিষ্ট দূরত্বে দূর্ঘটনা প্রবণ এলাকাতেই স্থাপন করা হয়। কিন্তু উপকারী স্পিড ব্রেকার অনেক সময় ক্ষতিও করে। চকরিয়া পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গারমুখ থেকে অলিশাহ বাজার পর্যন্ত ৩ কি.মি গ্রামীণ সড়কটিতে ব্যক্তি উদ্যোগে যত্রতত্র স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য স্পীড ব্রেকার। কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অপরিকল্পিতভাবে স্পীড ব্রেকার তৈরি করায় ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্পীড ব্রেকারগুলোর আগে পরে নেই কোন প্রতিকী চিহ্ন, লেখা নেই কোন সতর্কবাণী। এমনকি রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়নি ওই স্পীড ব্রেকারগুলো। সরেজমিনে দেখা গেছে, চকরিয়া পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গারমুখ থেকে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের অলিশাহ বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তায় ১৭টি গতিরোধক রয়েছে। কিছু কিছু স্পীড ব্রেকার এতো উঁচু যে, এগুলোর ওপর দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় বেশ জোরে ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে প্রায়ই চালকদের সঙ্গে যাত্রীদের কথা কাটাকাটি ও বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হচ্ছে। এসব রাস্তায় যাতায়াতকারী রোগী ও শিশুরা ঝাঁকুনিতে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মাঝে মাঝে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে রাস্তায় পরে থাকতে দেখা যায়। সড়কের পাশে কেউ নতুন বাড়ি নির্মাণ করলে সেখানে দেয়া হয় একটি স্পীড ব্রেকার। আর হাট-বাজার, দোকান থেকে শুরু করে চা দোকানের সামনে অবাধে স্পীড ব্রেকার নির্মাণ করায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেক সময় বিভিন্ন মাহফিল ও মসজিদ নির্মাণের নামে পাকা সড়কের ওপর ইট ও মাটি দিয়ে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করে গাড়ির পথরোধ করার চেষ্টা করছে অসচেতন মহল। জাহেদুল ইসলাম নামের এক সিএনজি চালক জানান, উচু স্পীড ব্রেকারগুলোতে গাড়ির গতি কমিয়ে উঠার চেষ্টা করলে গাড়ি স্পীড ব্রেকারের ওপর উঠতে চায়না। তাই বাধ্য হয়ে জোরে চালিয়ে উঠতে হয়ে। মাঝে মধ্যে ওই স্পিড ব্রেকারগুলোতে উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন গাড়ির চালকরা। স্থানীয়রা জানান, অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত এই স্পীড ব্রেকারগুলোর কারণে সাইকেল, ভ্যান, মোটরসাইকেল চালকরাও সমস্যায় পড়েছেন। প্রতিদিন ছোটখাটো দূর্ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান বলেন, সড়কে যত্রতত্র স্পীড ব্রেকার দেওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ। যদিও গুরত্বপূর্ণ কোন জায়গায় স্পীড ব্রেকার দিতে হয় তাহলে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। কাজটা যেহেতু চকরিয়া পৌরসভার তাই পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সকল স্পীড ব্রেকার ভেঙে দেওয়া হবে।