পেকুয়ায় গেল ঈদ-উল আযহায় (কোরবানে) শ্বশুর বাড়ি থেকে দাবিকৃত ছাগল উপহার না দেয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করেছে স্বামী। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছে।শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গোঁয়াখালী দ্বিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আহত জান্নাতুল মাওয়া (২০) ওই এলাকার হাবিবুর রহমানের স্ত্রী।আহতের মা মঞ্জুরা বেগম বলেন, গত তিন মাস আগে দ্বিয়াপাড়ার আবদুর রহিমের ছেলে হাবিবুর রহমানের সাথে জান্নাতুল মাওয়ার বিয়ে হয়। গেল কোরবানের সময় কোরবানিতে উপহার হিসেবে একটি ছাগল দাবি করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। স্বামীও বায়না ধরে ছাগলের জন্য। মেয়ের সুখের জন্য স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের আবদার মেটানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। আমরা গরীব লোক। নিজেও কোরবানি দিতে পারিনি। সাধ থাকলেও সাধ্য না থাকায় ছাগল পাঠাতে পারিনি। এতে ক্ষেপে যায় তারা। বিভিন্ন সময়ে ছাগলের অযুহাত দেখিয়ে আমার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় তারা।সকালে একই অযুহাতে মারধর করে স্বামী। মুঠোফোনে মারধরের বিষয়টি আমাকে জানালে মেয়েকে দেখতে যাই। দুপুরে আমার সামনে ফের স্বামী হাবিব ও শাশুড়ি হালিমা বেগম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে মেয়েকে।স্থানীয়রা জানায়, টইটং ইউনিয়নের বাজার পাড়া এলাকার আবদুল কাদেরের মেয়ে জান্নাতুল মাওয়ার সাথে বিয়ে হয় হাবিবুর রহমানের।স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আজিম বলেন, স্বামী-স্ত্রীর তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সামান্য মারপিট হয়েছে বলে শুনেছি। আমাকে কোন পক্ষ জানায়নি। তবে বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধান করা হবে বলে জেনেছি।