রাঙ্গুনিয়ায় কুসুম আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের আছুয়াপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত কুসুম আক্তার ওই এলাকায় প্রবাসী মো. মিজানের স্ত্রী।নিহতের পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে, শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছে কুসুম ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।জানা যায়, নিহত কুসুম আক্তার পোমরা হাজারীখীল এলাকার মতিউর রহমানের চার মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে সবার ছোট সন্তান। গত তিন বছর আগে তার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের কয়েক মাস পর স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার পর গত ৩০ জুলাই দেশে আসেন। এর পাঁচ দিনের মধ্যে কুসুম আক্তারের এমন রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।নিহত গৃহবধূর বড় বোন রুজি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বোনের স্বামীর সাথে অন্য কারোর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সেটি আমার বোন জানতে পেরে যায়। এছাড়া আমার বোনের জন্য বিদেশ থেকে জুতো আনাকে কেন্দ্র করে শ্বাশুড়িও ঝগড়া করছিল। তারা দু’জন মিলে আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে। বিয়ের পর থেকে আমার বোনকে শান্তি দেয়নি। তুচ্ছ বিষয়েও তাকে গালমন্দ করতো, চালাতো নির্যাতন। আমার বোন শিক্ষিত মেয়ে, সে আত্মহত্যা করতে পারে না।’নিহত কুসুমের স্বামী মো. মিজান বলেন, ‘সকালে নাস্তা করে ঘর থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শুনি কুসুম নিজ কক্ষের দরজা বন্ধ করে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করছে। আমি দ্রুত ঘরে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমার সাথে তার কোনো সমস্যা ছিলো না। তুচ্ছ বিষয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তবে সে কেনো আত্মহত্যা করেছে বুঝতে পারছি না।’উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তানজিনা তাবাসসুম বলেন, ‘বেলা সোয়া ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তবে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।’রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব মিলকী বলেন, ‘লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে এই ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।