আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে চকরিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের নিজপানখালী মিশকাতুন্নবী (সঃ) দাখিল মাদ্রাসার জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। জানা যায়, চকরিয়া পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের নিজপানখালী এলাকায় মিশকাতুন্নবী (সঃ) দাখিল মাদ্রাসার মালিকানাধীন সীমানা লাগোয়া যার খতিয়ান নং-৭৮২ ও ৩৬৯ দাগের ৪০ কড়া জমি প্রতিবেশী আজিজুর রহমানের স্ত্রী জন্নাত আরা বেগম (৫৩), ইউসুফ আলীর মেয়ে সবুতারা বেগম (৫১) ও অপরাপর জহির আহমেদের ছেলে মোঃ ফজল করিম (৩৮), মোঃ করিম (৩৭), মোঃ জিয়াবুল করিম(৩০), আনোয়ারা বেগম (৬২) ও জহির আহমদ গংরা জোর-জবরদখল করার চেষ্টা করে আসছিলো। এ ঘটনায় বেশ কয়েকবার মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও বিবাদীদের মধ্যে উত্তেজনাও সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করলে চকরিয়া থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে বেশ কয়েকবার চকরিয়া থানার এসআই কামরুল, এএসআই শাহ জালাল, এসআই জসিমের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বাজায় রাখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কক্সবাজার জেলার এমআর মামলা নং- ১০৯০/২০২২, ধারা ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। যার স্মারক নং- ১৯৫৫/২০২২/এডিএম। এদিকে, ১৪৪ ধারাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উল্লিখিত আদেশের পরও বিবাদী পক্ষের জন্নাত আরা ও সবুতারা বেগম ১৭ইং জুলাই রবিবার সকাল থেকে বাড়িঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এ ঘটনায় রবিবার চকরিয়া থানায় এসে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মৌখিক অভিযোগ করে বলে জানান। এছাড়াও আগামী ১৯ জুলাই চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত-উজ্জ-জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা থাকলেও তা উপেক্ষা করে বিবাদীগণ জোরপূর্বক মাদ্রাসার জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র জানায় ইতিমধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক দেওয়া নোটিশ পাওয়ার পরও বিবাদীরা বাড়ি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সরেজমিন গিয়ে সাংবাদিকরা সমূহ স্থানে বাড়ি নির্মাণের মালামাল মজুত রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে এসিল্যান্ড আসার কথা স্বীকার করে বলেন তারা জোর করে আর নির্মাণ কাজ করবে না। মামলার রায়ের পর যা হবে তা আমরা মেনে নিবো। অন্যদিকে মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বলে জানান বাদীরা। এ বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।