কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের উৎপাদন হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেছে। মূলত কয়লা সংকটের কারণে দেশের এত বড় প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে পুরোপুরি আমদানি নির্ভর ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এই বিদ্যুৎকেন্দ্র কবে আবার উৎপাদনে আসতে পারবে তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পেশা হারানোর ভয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুলসহ অনেকে। গত ৫ আগস্টের পর অনিয়ম-দুর্নীতি ও মামলার বেড়াজালে পড়া আওয়ামী লীগ সরকার আমলে করা ঋণনির্ভর এসব মেগাপ্রকল্পগুলো চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি নভেম্বরের শেষ দিকে বিদেশ থেকে কয়লা আসলে নিরসন হবে অচলাবস্থার। কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, চুক্তি অনুযায়ী সুমিতমো কর্পোরেশন কয়লার সর্বশেষ সরবরাহ দেয় গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে। মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি ইউনিট ২০২৩ সালের জুলাই ও অপর ইউনিট ডিসেম্বরে চালু হয়। যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এখন পর্যন্ত জাপানের সুমিতমো কর্পোরেশনের মাধ্যমে আনা হয় ২২ লাখ ৫ হাজার টন কয়লা। সেই মজুদ পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে। কোলপাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের এ প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিচালন) মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন মজুমদার ২ নভেম্বর (শনিবার) জানান, নভেম্বরের শেষের দিকে কয়লা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কয়লা আমদানি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রসঙ্গত, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভারতের বৃহৎ শিল্প গ্রুপ আদানিকে বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে পারছে না বাংলাদেশ। ফলে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে কোম্পানিটি। আদানির বকেয়া বিল রয়েছে ৮৮৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১০ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা)। এ কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটের একটি বন্ধ রাখা হয়েছে।