ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের তফসিল জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে। এবারও পাঁচটি ধাপে এই নির্বাচন আয়োজন করতে চায় সাংবিধানিক সংস্থাটি।উপজেলা নির্বাচন আয়োজন নিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ইতোমধ্যে ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপের নির্বাচন আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি গতবারের ন্যায় এবারও দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।অতিরিক্ত সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন সারা বছর কোন না কোন নির্বাচন আয়োজনের মধ্যে থাকে। কিছুদিন আগে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। এবার পাঁচটি ধাপে উপজেলা নির্বাচন আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম ধাপে কয়টি উপজেলা নির্বাচন হবে সেই বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কমিশন সভায়।তিনি আরও বলেন, সামনে পবিত্র রমজান, তার আগেই প্রথম ধাপের নির্বাচন করা হবে। এরপর বর্ষা মৌসুম থাকায় দ্রুতই পরবর্তী ধাপের নির্বাচনের আয়োজন সম্পন্ন করতে চাই।ইসি সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকারের বিভাগ। বস্তুত গ্রামীণ জনপদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের প্রশ্নে উপজেলা পরিষদই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের নির্বাচন করতে পদত্যাগ করতে হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-মেম্বার, জেলা পরিষদের সদস্য, পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরদের পদত্যাগ করতে হবে। এছাড়া অনেক কলেজ সরকারি হয়েছে কিন্তু সেখানে যারা চাকরি করেন, তারা এখনও সরকারি হননি। তাদেরও উপজেলা পরিষদে নির্বাচন করতে হলে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে হবে।উপজেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।উল্লেখ্য, পরিষদের প্রথম বৈঠক থেকে মেয়াদ শুরু হয়। উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে। ১৯৮৫ সালে প্রথমবারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালে।