কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের আওতাধীন ফুলছড়ি বনবিট এলাকা থেকে ৫টি আকাশমনি গাছ কেটে পাচারকালে জব্দ করেছে বনবিভাগ।সোমবার (১৫ মে) সকাল ১০ টার দিকে বনবিটের নতুন অফিস জুমনগর মসজিদ পাড়া এলাকা থেকে এসব কাটাগাছ জব্দ করা হয়। এসময় জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে গাছ কেটে অবৈধ ঘর তোলার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়।বনবিভাগ সুত্রে জানা যায়, এদিন সকালে স্থানীয় কাঠ চোর সিন্ডিকেট জুমনগর মসজিদ পাড়া থেকে ৫ টি আকাশমনি গাছ কেটে পাচারের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ফুলছড়ি বনবিট কর্মকর্তার নির্দেশে স্টাফ, ভিলিজার, হেডম্যানসহ একটি দল কাঠগুলো জদ্ব করে অফিসে নিয়ে আসে এবং জড়িতদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানায়। গাছ কাটার সাথে যারা জড়িত তারা হলেন ঈদগাঁওউপজেলারইসলামপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড জুমনগর গ্রামের ওয়াজ করিমের পুত্র আবদুস ছালাম আনু (৫৩) তারই পুত্র লালু (২৭) নবাব মিয়া (২৪) ও গিয়াস উদ্দিন (৩৮)। তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পেলে পরবর্তীতে ছাপানো হবে।উল্লেখিত গাছের পাহারাদার ও নতুন অফিস এসিএফ পাড়ার মৃত ইউছুফ আলীর পুত্র মোঃ ইউনুস বলেন, বিগত ২০২০ সালে এ বাগানের জন্য বনবিভাগ আমিসহ ৪ জনকে মামলা দিয়ে আসামী করে। আদালত গাছ গুলো পাহারা দেয়ার শর্তে আমাদের জামিন মন্জুর করেন। সে থেকে গাছ গুলো দীর্ঘদিন ধরে আমি পাহারা দিয়ে আসছি। সোমবার সকালে অভিযুক্তরা গাছ কেটে পাচারের চেষ্টা করলে আমি বাঁধা দিই। এসময় অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাকে মারধরের চেষ্টা চালায় ও জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।তিনি আরো বলেন, অভিযুক্তরা দিনভর নানা হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। এমনকি যারা বনবিভাগকে খবর দিয়ে গাছ জব্দ করেছে রাতে তাদের পরিবারে নির্যাতন করা হবে বলেও মোবাইলে হাঁকাবকা করছে। দিনদুপুরে গাছ কেটে পাচার কাজে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও দাবী জানান তিনি।ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফজল কাদের চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে কতর্নকৃত গাছের টুকরা জব্দ করা হয়েছে। যারা গাছ কেটে পাচারের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।