চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ভেজাল ঘি, চা পাতাসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে প্রশাসন। ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও অপর অভিযানে চকরিয়া পৌরশহরস্থ চার আবাসিক হোটেলকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন এবং পৌরশহরে এই অভিযান চালানো হয়। চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও র্যাব-১৫ এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অভিযান চালিয়েছেন। চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহাত উজ জামান এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময়, অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আরিফুল ইসলাম। র্যাব-১৫ কক্সবাজারের কোম্পানি সহকারি পরিচালক লে. কমান্ডার মাহাবুবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ভেজাল ঘি, ভেজাল চা পাতাসহ নানা ধরনের খাদ্য সামগ্রী তৈরি করছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি অভিযানিক দল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত উজ জামানকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায়। অভিযানে ভেজাল ঘি, ভেজাল চা পাতাসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী উদ্ধার করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং খাদ্যসামগ্রীগুলো নষ্ট করা হয়। এসময়, তিনি আরও বলেন, এছাড়াও চকরিয়া পৌরশহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকালাপের অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। অসামাজিক কার্যকালাপ চালানো এবং লাইসেন্স না থাকায় চার আবাসিক হোটেলকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ অভিযানে ওশান সিলভার নামের একটি আবাসিক হোটেল সিলগালা করে দেওয়া হয়। চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহাত উজ জামান বলেন, ভেজাল খাদ্যসামগ্রী তৈরি এবং আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকালাপ চালানোর অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। এই সময় ভেজাল খাদ্যসামগ্রী তৈরির অপরাধে ২ লাখ টাকা এবং হোটেলে অসামাজিক কার্যকালাপ এবং লাইসেন্স না থাকায় চারটি হোটেলকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া আরেকটি হোটেলকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।