চকরিয়াSunday , 18 December 2022
  1. Lead Post
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আজব খবর
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আলোকিত চকোরিয়া
  7. আলোকিত বন্ধু সমাবেশ
  8. আলোকিত বাংলাদেশ
  9. আলোকিত বিজ্ঞাপন
  10. আলোকিত মানুষ
  11. আলোকিত শিশু
  12. আলোকিত সংবাদ
  13. আলোকিত সাময়িকী
  14. ইসলাম ও ধর্ম
  15. কক্সবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চকরিয়া থানায় ৫৬ মুক্তিযুদ্ধা যখন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামী

Link Copied!

১৯৭১ এর এপ্রিল পরবর্তী সময়ে প্রতিরোধ ভেঙ্গ পড়লে, তৎকালীণ সাময়িক সময়ে পাঞ্জাবীদের দখলে ছিল গোটা চকরিয়া এবং থানা প্রশাসন। এ সময় পাঞ্জাবীরা সুযোগে মুক্তিযুদ্ধাদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি রাষ্ট্রদোহ মামলা করে। এ মামলায় অন্তত ৫৬জন মুক্তিযুদ্ধাকে আসামী করা হয়। অথচঃ এসব মুক্তিযুদ্ধাদের অনেকেই আজ মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় নেই। বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় রয়েছে মাত্র দু-একজনের নাম। ওই সময় দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আসামী হয় এসকে শামসুল হুদা, ডাক্টার শামসুদ্দীন, আনোয়ারুল হাকিম দুলাল, হাজী আবু তাহের, এএইচ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম, রাজা মিয়া, মোজাম্মেল হক চেয়ারম্যান, তাহের আহমদ (তাহের মাজু) মফজল সওদাগর সহ অন্তত ৫৬জন মুক্তিযুদ্ধা। অনুন্ধানে জানা যায়, এ মামলার অনেক আসামী আজ আর নেই। অনেকেই তাদের প্রাপ্য স্বিকৃতির আশায় দিন গুনতে গুনতে দুনিয়ার মায়া ছেড়েই চলে গেছেন। সোনার বাংলা গড়ার মানসে হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে করেও তাদের সেই স্বিকৃতি মেলেনি। আর যে সব বীর মানুষ গুলো মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন, তাদের অনেকের সাথে এ প্রতিবেদকের আলাপচারিতায় দেখা গেছে, অবহেলিত ও মুক্তিযুদ্ধের নামের তালিকা থেকে বাদ পড়া এসব মুক্তিযুদ্ধাদের আসামীর কলামে নাম সম্বলিত চকরিয়া থানার মামলার কপি এখনো দৃশ্যমান। এদিকে ঠিক যে মুহুর্তে পাঞ্জাবীরা চকরিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করে, ওই সময়ের মধ্যে চকরিয়া চলে একটি হত্যাযজ্ঞ। এ হত্যাযজ্ঞে শহীদ হন চকরিয়ার শহীদ আবুল হোসেন সহ, সার্দা মহাজন সহ অনেকে। সুত্র জানায়, এ সময়টাতে পাঞ্জাবীরা অনেকের ঘরবাড়ীও পুড়িয়ে দেয়। জাান যায়, ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর কালের স্বাক্ষি এবং মুক্তিযুদ্ধের তৎকালীণ কক্সবাজার জেলা মহকুমা কমান্ডার ও চকরিয়া থানায় পাঞ্জাবীদের দায়েরকৃত ওই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার ৪৪ নং অসামী সালাহ উদ্দিন মাহমুদের নের্তৃত্বে অভিযান চালিয়ে চকরিয়ার বহুল আলোচিত রাজাকার কমান্ডার জহির আহমদকে পশ্চিম বড়ভেওলার ইলিশিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার সাথে ছিলেন এস,এম কামাল ও রমযান আলী সহ অনেকে। সুত্র মতে, শহীদ আবুল হোসেন সহ আরো অনেক হিন্দু মহাজনকে পাঞ্জাবীদের মাধ্যমে হত্যায় সহযোগিতা করে এ জহির। এটি একটি ইতিহাস নির্ভর দললি। তাই যদি হয়, তবে এমনটি কেন হলো যে, সকলেই একই কাতারে সামিল হয়ে দেশের জন্য যুদ্ধ করে জীবন দিলেন। কেউ স্বিকৃতি পেলেন, আবার কেউবা নয়। অনেকে আমাদের মাঝে এখনো বেচে থেকেও কি লাভ হলো? যাদের কাজের স্বিকৃতিই যদি না দেয়া হয়? এসব বিষয় গুলোকে এজেন্ডা করে ইতিমধ্যে চকরিয়া সাংবাদিক ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে স্থানীয় এবং জাতিয় দৈনিক গুলোতে একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে সরকারের দৃষ্ঠি গোচর করা হয়েছে। সহসা তথ্য উপাথ্যের সাথে দলিল ভিত্তিক যে সব লোক গুলো মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছে, তাদের অবিলম্বে তালিকা প্রনয়ন করে, তাদের নাম বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশ করা হোক। এ মামলার অনেক আসামী এবং কক্সবাজারের বেশিরভাগ নেতাকর্মী বার্মায় পালিয়ে গেলেও, সেখানকার সরকার তাদের আটক করে রাখে বলে বেশ ক’টি সুত্র জানিয়েছে। কক্সবাজারের অনেক মুক্তিযুদ্ধা, সুবেদার চোবহান, ইদ্রিস মোল্লা সহ তাদের বেশ কয়েকটি গ্রুপ তৎকালীণ বিএলএফ কমান্ডার এবং ওই মামলার আসামী সালাহ উদ্দিন মাহমুদের কাছে অস্ত্র জমা করে যা পরে বঙ্গবন্ধুর কাছে তিনি জমা করেন। অবিলম্বে তথ্যভিত্তিক এবং দালিলীকভাকে বাদ পড়া মুক্তিযুদ্ধাদের তালিকা প্রনয়ন করে বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশ করার দাবী তুলেছেন ওইসব মুক্তিযুদ্ধা পরিবারের লোকজন। বাংলাদেশ গেজেটে স্থান পাওয়া অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা তালিকা থেকে বাদ পড়া তাদের সহকর্মীদের নাম নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় আসা উচিত বলে মনে করেন অনেক মুক্তিযুদ্ধা । তৎকালীণ মুজিব বাহিণী কমান্ডর (বিএলএফ) এএইচ সালাহ উদ্দিন মাহমুদের সাথে একান্ত আলাপকালে তিনি জানান, দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকল মুক্তিযুদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন,তার বোধগম্য নয়, কেন যে এসব মানুষ গুলো তালিকায় আসেনি। তিনি বলেন, আমাদের অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে, একে অপরকে দোষারোপ না করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ^াস করে, স্বাধিনতা যুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল যার বিশ^াস রয়েছে এবং যারা বাঙ্গালী জাতি স্বত্বায় বিশ^াস করে, তাদের জাতিয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলে আগাশীর নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে জনগনের মন জয় করতে হবে। তিনি আরো বলেন,সকলকে দূর্ণিতীর উর্ধ্বে থেকে জনকল্যাণমুখি একটি রাষ্ঠ্র গঠনে কাজ করতে হবে। সালাহ উদ্দিন মাহমুদ বলেন,¡ বাংলাদেশের উন্নয়নের চলমান গতিধারাকে অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃতে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন বিকল্প পথ নেই।
সুত্র- ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ইংরেজী তারিখ সাপ্তাহিক গ্রামীণ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
লেখক-বি এম হাবিব উল্লাহ-
সাবাদিক, সংষ্কৃতি ও মানবাধিকার কর্মী
সম্পাদক-আলোকিত চকরিয়া ও গ্রামণি সংবাদ

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।