পেকুয়ায় লবণ মাঠের আধিপত্য নিতে রাজাখালীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কৃষককে জমি থেকে বিতাড়িত করতে ফাঁকা গুলি বর্ষণের ঘটনাও সংঘটিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৭ টার দিকে ও ২১ নভেম্বর দিবাগত গভীর রাতে গুলিবর্ষণের এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।পেকুয়া থানার এসআই খায়ের উদ্দিন সকাল ৮ টার দিকে ও এএসআই রব চৌধুরী সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে পৃথক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১ একর লবণ মাঠ নিয়ে রাজাখালী ইউনিয়নের নতুনঘোনায় হানিফ চৌধুরী ও মাহামুদুল করিমের মধ্যে বিরোধ চলছিল। জায়গাটি ভোলাখালের জেগে উঠা চরের জমি। ডেপুটি কমিশন (ভূমি) ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়ন্ত্রণাধীন সম্পত্তি। গত ৪ বছর ধরে চরের জায়গাটি সংষ্কার উপযোগীসহ সেখানে মাহামুদুল করিম লবণ চাষ করছিলেন। চলতি বছরও মাহামুদুল করিম সেখানে লবণ উৎপাদনের জন্য মাঠ প্রস্তুতি করে।প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ কালু, সিরাজ, আবদুল হামিদ, কামাল হোসেনসহ নতুনঘোনার স্থানীয়রা জানান, লবণ মাঠের বিরোধ নিয়ে হানিফ চৌধুরীর অনুগত ২০-২২ জনের দুবৃর্ত্ত মঙ্গলবার সকাল ৭ টার দিকে লবণ মাঠে এসে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। ভীতি ও আতংক ছড়াতে অন্তত ৭ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। বিষয়টি স্থানীয়রা থানাকে অবহিত করেন। এ সময় পেকুয়া থানার এসআই খায়ের উদ্দিন ও এএসআই আবদুর রব চৌধুরী একদল পুলিশ নিয়ে দ্রুত ওই স্থানে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভাড়াটে দুবৃর্ত্তদের মধ্যে কয়েকজন পার্শ্ববর্তী নদীতে ঝাপ দেয়। সাঁতার কেটে তারা মগনামার দিকে পালিয়ে যায়।মাহামুদুল করিম বলেন, গত ৫ দিন ধরে কাচারীতে দাগী লোকজন এসে জড়ো হচ্ছে। হানিফ চৌধুরী আমাকে মাঠ থেকে উচ্ছেদ করতে এদেরকে এখানে নিয়ে আসে। গতকাল রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় গুলি বর্ষণ হয়েছে। অন্তত ১৫ রাউন্ড মতো গুলি করেছে। আমেনা বেগম নামক বয়োবৃদ্ধ মহিলা জানান, গুলি আওয়াজ শুনে আমি চমকে উঠি। হোসনে আরা, নুর আয়েশা, হানিফাসহ আরো অনেকে জানান, গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। আমরা আতংকিত ছিলাম।ইউপি সদস্য হোসাইন শহীদ সাইফুল্লাহ জানান, মাহামুদুল করিমকে উচ্ছেদ করতে এ ধরনের ভীতিকর পরিস্থিতি আমার এলাকায় হয়েছে। আমি নিজেও আতংকিত হয়ে পড়ি। পেকুয়া থানার এএসআই রব চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে খায়ের উদ্দিন স্যারসহ আমরা গিয়েছিলাম। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল। গুলি বর্ষণ হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি গুলি বর্ষণের কথাটি অস্বীকার করেছেন।