সিলেটের গোলাপগঞ্জে চিকিৎসার জন্য কবিরাজের কাছে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ (২৫)। এমন অভিযোগে থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত কবিরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিয়ানীবাজার উপজেলা থেকে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।ওই কবিরাজের নাম সুহেল মিয়া (৩৫)। তিনি উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত অপর ব্যক্তি পলাতক।মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূ গোলাপগঞ্জের কবিরাজ সুহেল মিয়ার কাছে চিকিৎসা নিতে যান। এ সময় সেখানে আরো কয়েকজন রোগী ছিলেন। কবিরাজ সুহেল মিয়া ও তার চাচা অন্য রোগীদের চিকিৎসা দিলেও গৃহবধূকে বসিয়ে রাখেন। অন্য রোগীরা চলে যাওয়ার পর সন্ধ্যার দিকে সুহেল ও তার চাচা গৃহবধূকে একটি কক্ষে ডেকে নেন। এরপর সুহেল ও তার চাচা তাকে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ অচেতন হয়ে পড়েন। রাতে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। পরে পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন।এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দুবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সুহেলের চাচাকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সুহেলকে গ্রেপ্তার করে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলায় সুহেলের চাচার নাম উল্লেখ করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।