চকরিয়ায় প্রতিনিয়তই ঘটছে মানুষের ঘরবাড়ী, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ মদ্রাসার জমি জবর দখলে মনগড়া-জোরখতিয়ানে কিছু সংখ্যক মানুষের সৃষ্টি করা কৃত্তিম সংকটের মধ্যদিয়ে সৃষ্টি করা সীমা লঙ্গন ও ভুদিস্যুদের দৌরাত্ন কোন মতেই থামছেনা। শুধু তাই নয়, চকরিয়া ডুলহাজারা মারকাজ মসজিদের মুসল্লিদের বার্ষিক ধর্মীয় সমাবেস্থল আনন্দ ভাগাভাগির স্থান ঈদগাহ ময়দানের বাউন্ডারী দেয়ালও ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ার মতো গুরতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমনিই একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনার আজ অন্তত ১৭ বছর ধরেই চলমান একটি ঘটনায় চকরিয়া উপজেলার ডুলহাজারা মার্কাজ মসজিদের হাজার হাজার মুসল্লির পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি মক্তব এবং কোরআনে হাফেজখানার শত শত শিক্ষার্থী চরম ভিতী ও সংকটেই রয়ে গেল।
ঈদের ময়দানে কোন রকম ভাবেই মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেছেন গেল ঈদুল আজহার নামাজ। কারন সংকটের মুহুর্তে দখল হয়ে যাওয়া ঈদগাহ ময়দানের বাকী জমতে কোন মতেই নামাজ আদায় করতে হয়েছে যাচ্ছে মসজিদের জমি ও মানবজাতির পরকালীণ শেষ বাসস্থন কবরস্থানের সাড়ে তিন হাত কাপন পরিহীত লাশের ঘরটিও। অভিযোগ উঠছে, ডুলহাজারা মারকাজ মসজিদের মালিকানাধীন
ঈদগাহ মাঠটি এবং দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে মসজিদের প্রাঙ্গন বৃষ্টির পানির সাথে ডুলহাজারা বাজারের হাজারও ব্যাবসায়ীদের দোকানে ব্যাবহৃত ময়লা পানিতে ডুবে আছে। মসজিদের বহিরাঙ্গনে পানি চলাচলের ড্রেনটিও ভরাট হয়ে আছে। মসজিদ পরিচালনাকারী ও মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন ও মুসল্লিরা অভিযোগ তুলছেন, মসজিদ নিয়ে কৃত্তিম সংকট সৃষ্টিকারী ওই এলাকার প্রভাবশালী আসলাম চৌধুরী মসজিদ ও সরকারি ২ নং খাস খতিয়ানের জমির উপর মাঠি ভারাট করে মসজিদের ভেতরের এবং বহিরাঙ্গনের ড্রেনটিও মাটি দিয়ে ভরাট করে বন্ধ করে রেখেছেন। ফলে বৃষ্টি হলেই বাজারের সমস্ত ময়লা পানী আল্লাহর ঘর মসজিদের ভেতর এবং মসজিদ প্রাঙ্গনে প্রবেশ করে হাটু পরিমান পানিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। গেল ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ে ইমম মুসল্লিদের করুণ পরিনতি দেখতে হয়েছে। চরম সংকটে আসলাম চৌধুরীর লেলিয়ে দেয়া বাহিনীর তান্ডবে ঈদগাহ ময়দানের বাউন্ডারী দেয়ালও ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। ফলে কোনঠাসা হয়েই মুসল্লিদের আদায় করতে হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ। যেন সকলেই কেবল ওই আসলাম চৌধুরীর কাছে অসহায়? আসলাম চৌধুরীর হাত থেকে রেহাই পায়নি ডুলাহাজারা গণ কবরস্থানের জায়গা ও কবরও। কবরস্থানের জমির উপর অবৈধভাবে দখল করে তিন তলা অবৈধ মার্কেট নির্মাণ করে কবরস্থানের ভিতরে গিয়ে পানির ডিপ টিউবওয়েলও বসানো হয়েছে। অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে আসলাম চৌধুরী কবরস্থানের ৬০৭৪ দাগের প্রায় ৪০ শতক ৬০৭৫ দাগের বন বিভাগ ও মসজিদের ২২শতক জমির উপর রকমারী ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, কৃষি ব্যাংক সোনালী ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক আইএফআইসি ব্যাংক ফাষ্টকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এর শাখা অফিস ভাড়া দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে মারকাজ মসজিদের খতিব, ইমাম মুয়াজ্জিন ও মুসল্লিরা চরম ভিতিতে রয়েছে। এলাকা বাসির পক্ষ থেকে সরকারি তরফে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও আইনসৃংখলা বহিনীর সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে মসজিদ ও মসজিদের সম্পদ ও কবরস্থানের এবং ঈদগাহ ময়দান রক্ষায় কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।