বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন,”আমার মৃত্যুর পরে দেশের মানুষ যদি আমার আদর্শ ভুলে গিয়ে কেবল আমাকে নিয়ে মাতামাতি করে, তাহলে তা হবে মূর্তিপূজার শামিল”।ইতিহাস স্বাক্ষী ৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু কে সপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করে পরাজিত গোষ্ঠীর দেশীয় এজেন্সি। দেশবিরোধী সকল অপশক্তি একহয়ে এই দেশের ইতিহাস এবং মর্যাদাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে উঠে পড়ে লাগে তারা ।বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শতশত অসত্য বানোয়াট কাহিনি লিখে সাধারণের মাঝে প্রচার করে।রেডিও টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ নিষিদ্ধ করে ।আওয়ামী লীগের কর্মীদের উপর চলে অন্যায়, অবিচার, জেল জুলুম,করে গৃহছাড়া,দেশছাড়া। ।দীর্ঘ একুশ বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে বিশ্বের কাছে বাঙালী জাতিকে বীরোচিত মর্যাদায় আসীন করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মুষ্টিমেয় কিছু মুজিব পাগল মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পতাকা ধরে রাখে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে আজকের দিনে পুরো দেশটা যেন আওয়ামীলীগে ভরা। লীগের পরিচয় লাগিয়ে শতের উপরে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সংগঠন।নেতা পাতিনেতায় টইটম্বুর ।আশি নব্বই দশকের দিকে ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক করার জন্য জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হতো, আর এখন ওয়ার্ড কমিটির সদস্য হওয়ার জন্য অর্থের লেনদেনের কথা বহুল প্রচার আছে। তবে সবচেয়ে নির্মম সত্য হচ্ছে, এখন রাজনীতির মাঠে আদর্শের আলোচনা নাই, বঙ্গবন্ধু দর্শন নিয়ে আলোচনা করার কথা বলা হলে অধিকাংশ নেতাকর্মী লা-জবাব হয়ে যাবে।দীর্ঘদিন দল ক্ষমতায় থাকার পরও বর্তমান সময়টা আওয়ামী রাজনীতির সুসময় বলা যাবে না।বিশ্লেষকের মতামতে, রাজনীতির চরম সময় পার করছে আওয়ামী লীগ। দলীয় নীতি নৈতিকতার কোন চর্চা নাই বললেই চলে। একে-অপরের চরিত্র হরণ,বিতর্কের মুখে টেলে দেওয়া, অপপ্রচার, তিরস্কার বিদ্রুপই এখন সাধারণ মানুষের হাস্যের খোরাক । ফলে বিদ্বেষ প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই কোন্দল, বিভাজনের রাজনীতিতে মগ্ন হয়ে আছে সরকার দলীয় সংগঠন। মন্তব্য করতে গিয়ে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন,”বাংলাদেশে এখন মুজিব কোটধারীদের সংখ্যা বিপুলভাবে বেড়েছে। কিন্তু মুজিব পন্থিদের সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে হয় না”।তাই শোক দিবস -২০২৩ আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য খুবই গুরুত্ববহ।বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার, কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করাই শুধু শোক দিবসের কর্মসূচির মর্মার্থ নয়।অনুধাবন, বিশ্লেষণের জন্য দরকার বঙ্গবন্ধু চর্চা প্রচার প্রসারের জন্য সেমিনার সিম্পোজিয়াম। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া কর্মসূচি সম্বলিত ম্যাগাজিন প্রকাশনার মাধ্যমে কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া। কারণ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের সংগ্রাম, ও সেই সংগ্রামের প্রকৃত ধারণা এবং উদ্দেশ্যের মুল্যায়নে এখনো অনেক নেতাকর্মী অনভিজ্ঞ,কাঁচা।বর্তমান সময়ে সব জায়গায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ। বলা হচ্ছে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।অতীত ইতিহাস হলো, বাঙ্গালি জাতিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার রটনা কোন সময় বন্ধ ছিল না।যার প্রধানতম প্রতিপক্ষ, উপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদ, স্বাধীনতার পরাজিত গোষ্ঠী এবং সুবিধাভোগী আওয়ামী লীগের ভিতরে ছদ্মবেশী মোনাফেক সংঘ”।এসব অপশক্তি প্রথমে বিভিন্ন প্রপাগান্ডার মাধ্যমে চরিত্র হনন,তাতে ব্যর্থ হলে শারীরিক হত্যার “মিশন নিয়ে ঘাপটি মেরে বসে থাকে।ইতিহাসে দেখা যায়, ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী পলাশী যুদ্ধের অনেক আগে থেকে নবাবকে নিয়ে অনেক অপপ্রচার এবং রটনা ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করে।তাদের ভাষায়,নবাব ছিলেন দয়ামায়াহীন, নিষ্টুর শাসক।নবাবের বিরুদ্ধে জনগণকে বিষিয়ে তুলতে নানাবিধ অপপ্রচারের মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য রটনা ছিল নবাব সিরাজউদ্দৌলা ২০০ ইংরেজ বন্দীকে অন্ধকূপে আটকে রেখে হত্যা করেছিল। এ-ই মিথ্যা অপবাদকে স্মরণীয় করে রাখতে সৈন্যদের নামে কলকাতায় একটি স্মৃতিসৌধ তৈরী করে রাখে।। যার নাম “হলওয়েল মনুমেন্ট”।পরবর্তী পর্যায়ে বিখ্যাত গবেষক এবং ইতিহাসবিদ অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে প্রমাণ করে দেখান যে,”হলওয়েল মনুমেন্টে” এর কিসসা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানানো।ইংরেজরা নবাব সিরাজদ্দৌলাকে হেয় করার জন্য মিথ্যা কাহিনি বানিয়ে ছিল। ১৯৪১সালে একটি বিরাট মিশিল নিয়ে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ইংরেজ শাসকদের চোখের সামনে “হলওয়েল মনুমেন্ট” স্তম্ভ ভেঙে ফেলে।উল্লেখযোগ্য যে বৃটিশ বিরোধী বিখ্যাত অনেক নেতাদের সাথে সেদিন দুইজন মুসলিম ছাত্রও যোগ দিয়েছিলেন। তারমধ্যে একজন ছিলেন শেখ মুজিব।চোখের চিকিৎসার জন্য তিনি তখন কলকাতায় অবস্থান করছিলেন।সত্তর দশকে এসে বঙ্গবন্ধু মুজিবও ইতিহাসের ষড়যন্ত্রের শিকার হন। তিনি ১৯৭১ সালের দিবাগত রাতে পাক আর্মির হাতে আটক হওয়ার আগে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। যা ২৬ শে মার্চ কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতা এম এ হান্নান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে সেই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।এমএ হান্নানের পর সামরিক বাহিনীর অফিসার হিসেবে তত্কালীন মেজর জিয়াউর রহমানও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণা পত্রটি পাঠ করেন।কিন্তু মেজর জিয়ার মৃত্যুর পর তাকে স্বাধীনতার ঘোষক” প্রতিষ্ঠিত করতে কল্পকাহিনী সাজায় বিএনপি।
পাকিস্তান আমলেও বাঙালিদের বিভিন্ন অজুহাতে হেয় করার চেষ্টা করা হতো। বাঙালী মুসলমানদের তারা প্রকৃত মুসলমান মনে করতো না।পাকিস্তানিদের ভাষায় “বাঙালি মুসলমানদের আচরণ চালচলন, ভাষা সংস্কৃতি সব হিন্দুয়ানী”।স্বাধীনতার আগে থেকে বঙ্গবন্ধু মুজিব বুঝতে পেরেছিলেন যে অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা কোন দিন অর্থবহ হবার নয়।তাই তিনি শোষিতের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সেই কর্মসূচিতে কি আছে, কি নাই, না জেনে, না পড়ে একটি পক্ষ দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচিকে নিয়ে নানান অপপ্রচার নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করে। রটনাকারীদের ভাষায় এই কর্মসূচির মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।কিন্তু আধুনিক যুগে যতই সময় সামনে গড়াচ্ছে, দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি নিয়ে গবেষণা করে বিশ্লেষক মহল এই কর্মসূচিকে বাংলাদেশের জনসাধারণের মানসিকতানির্ভর উত্তম কর্মসূচি হিসেবে মনে করেন ।গবেষকদের অভিমত, বঙ্গবন্ধু মুজিবের হাত ধরে এই কর্মসূচী বাস্তবায়িত হলে এতদিনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে শক্তিধর দেশের কাতারে নাম লিখা হতো।বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি এখনও অবিকল বই আকারে আছে। চাইলে সহজে পড়ে দেখা যায়।তবে শতভাগ সত্য রটনাকারী গোষ্ঠীতো পড়বেই না,আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা পড়ে কিনা সন্দেহ ।কারণ আমরা অনেকটা কানের জন্য চিলের পিছনে দৌড়াই, কান ধরে দেখি না।
বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক অগ্রগতি দেখে বৃটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন,” কি করে আপনার দেশকে এ রকম উচ্চ প্রবৃদ্ধিতে রাখতে পারেন, এত বছর ধরে আমি সেটাই ফলো করি।আপনি আমার কাছে বিরাট অনুপ্রেরণা”।। পাকিস্তানের একজন সাংসদ তাদের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেন,”শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানে এনে দাও।পাকিস্তানকে তিনি বাংলাদেশ বানিয়ে দিক,এটাই আমাদের চাওয়া।কিন্তু সাম্রাজ্যেবাদী গোষ্ঠীর কাছে তৃতীয়বিশ্ব থেকে উঠে আসা যেকোন দেশ নিরাপদ নয়।তারা কৌশলে বিশৃঙ্খলা, বিভক্তি সৃষ্টি করে ফায়দা লুঠার পায়তারা করে সবসময় ।সাম্প্রতিক সময়ে উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে এদেশের চমৎকার অগ্রগতি লক্ষ্যনীয়। কিন্তু দেশে সরকার বিরোধী মহলের এসব চোখে পড়ে না।স্বীকার করতে হীনমন্যতায় ভোগে।তাই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার নির্লজ্জ অপচেষ্টায় বিদেশি কূটনীতিকদের দুয়ারে ভিখারির মতো ধর্ণা দেয়।বিশ্ব পূঁজিবাদের দাসত্বের নাকক্ষত দেয়া এইসব কুচক্রী মহল নানা ধরনের রটনা চালিয়ে বেড়ায় শুধু ।উল্লেখযোগ্যযে পনেরই আগষ্টের আগে বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিরুদ্ধে ও বিভিন্ন রকম রটনা প্রচার ছিল।শেখ কামালের বিরুদ্ধে রটনা ছিল যে তিনি ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িত ছিল এবং গ্রেফতার হয়ে বন্দুক যুদ্ধে আহত হয়েছিলেন। সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত বাংলাদেশের আনাচকানাচে বাতাসের মত ঘটনাটি ছড়িয়ে দেয় তারা। শেখ কামালের চরিত্র হরণের মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানকে বিতর্কিত করাই ছিল বিরোধী মহলের উদ্দেশ্য।আসল ঘটনা হলো সেদিন রাতে খবর রটেছিল যে, সন্ত্রাসীরা ঢাকার মতিঝিল এলাকায় তত্পরতা চালাবে।খবরটি জেনে শেখ কামাল তাঁর কয়েকজন সহকর্মীসহ মতিঝিল এলাকায় টহল দিতে গিয়েছিল।রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসী মনে করে কামালের গাড়িকেই লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ ।গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হয়।এই খবরটা স্বাধীনতা বিরোধী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী শেখ কামালের ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িত থাকার মিথ্যা গল্প সাজিয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়।শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধের সময় গেরিলা যুদ্ধের ট্রেনিং নিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশ আর্মি থেকে ওয়ার টাইম কমিশন পেয়েছিলেন। তিনি গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি আতাউল গনি ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি ক্রীড়াবিদ এবং ক্রীড়াসংগঠক ছিলেন। আবাহনী তার নিজের হাতে গড়া।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে অনার্স এবং মৃত্যুর কয়েকদিন আগে একই বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি সমাপ্ত করেন।শেখ কামাল ১৯৪৯ সালের ৫ আগষ্টে জন্ম গ্রহণ করেন।ডাকাতির আসল সত্যটি সামনে চলে আসে লন্ডনের বিখ্যাত পত্রিকা টেলিগ্রাফের তত্কালীন সাংবাদিক পিটার হেজেল হার্টের মাধ্যমে। তিনি তখন ঢাকায় ছিলেন ।কুচক্রী মহল তাঁকে সে খবরটি বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করে ।যাতে খবরটি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় ছাপানো হয়।কিন্তু তিনি তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতার আলোকে রটনাকারীদের বলেছিলেন যে, “একজন প্রধানমন্ত্রীর ছেলের ব্যাংক ডাকাতির দরকার কি?টাকা চাইলে তো ব্যাংক ম্যানেজাররাই তাঁকে টাকা এনে দেবেন”।হেজেল হান্টারের কথাটা যে কতটা সত্যছিল যে, তা পরবর্তী সময়ে এদেশেই প্রমাণ হয়েছে। যার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান।হাওয়া ভবন কেন্দ্রীক তার টাকার পাহাড় বানানোর জন্য তাকে ব্যাংক ডাকাতি করতে হয় নাই। আবার সাম্প্রতিকসময়ে প্রতিপক্ষের রটনাকারীরা অনেকটা অলস সময় পার করছে। তাদের দায়িত্ব এখন সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হাতে তুলে দিয়ে হাততালি দিয়ে মজা করছে, বাঃ, বেশ! বেশ!! বঙ্গবন্ধু সহ তার আদর্শের প্রয়াত সারথিদের স্মরণে শ্রদ্ধায় রাখা ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি।ঢাকার বাইরেও অনেক নেতার ঐতিহাসিক অবদান অনস্বীকার্য। তাই জেলাউপজেলায় যাদের হাত ধরে রাজনীতি এগিয়ে গেছে তাদের সন্মানিত করা রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে পড়ে। কক্সবাজার জেলা সহ বিভিন্ন জায়গায় অনেক সিনিয়র প্রয়াত নেতাদের শোকসভা/স্মরণ সভা হয় না।এসব রাজনৈতিক ব্যর্থতা।কিন্তু চকরিয়া উপজেলাধীন মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগ দেরীতে হলেও প্রয়াত নেতাদের নিয়ে স্মরণ সভা আয়োজন, দোয়া মাহফিল সহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। যা শুদ্ধ সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চার জন্য ইতিবাচক দিক।এস এম জাহাঙ্গীর বুলবুল, বীর মুক্তিযুদ্ধা গোলাম রব্বান এবং এস কে শামসুল হুদা নিয়ে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে মাতামুহুরি।রাজনৈতিক সচেতন মানুষ , মাতামুহরী আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা এবং সাধারণ সম্পাদক মকসুদুল হক চূট্রুর এসকল সৃজনশীল কাজের জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছে।পরবর্তী সময়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে জেলার সাবেক সম্পাদক প্রয়াত নজরুল ইসলাম চৌধুরীর স্মরণ সভা হয় এবং জেলার প্রয়াত নেতাদের স্মৃতি সংরক্ষণ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার আলোচনা হয়।রাজনৈতিক কর্মীরা মনে করে যে, শুধু জেলায় নয়, উপজেলা পর্যায়েও প্রয়াত নেতাদের তালিকা করে অফিসিয়ালি সংরক্ষণ করা দরকার। এডভোকেট আমজাদ হোসেন, নুরুল কাদের বি কম,জাহাঙ্গীর বুলবুল এদের অভিবক্ত চকরিয়া আওয়ামী পরিবার ভুলতে পারে না।এরা এই অঞ্চলের জন্য শুদ্ধ রাজনৈতিক ছবক,অনুপ্রেরণা। হয়তোবা তারা রাজনৈতিক বলয়ের বাইরে নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করেন নাই, কিন্তু ঐক্যবদ্ধ সুসংগঠিত চেতনার আবেগ।চরম সত্য যে আজকের নেতৃত্বও একসময় সাবেক হয়ে যাবে, তাই বর্তমান নেতৃত্ব যদি সাবেকদের শ্রদ্ধা না করে, পরবর্তী প্রজন্ম বর্তমানদের সন্মান দেখাবে না।ইহাই ইতিহাসের নির্মম সত্য।তাই শোকের মাস ঘিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রচার নিয়ে কর্মসূচি গ্রহণ হোক।প্রখ্যাত সাংবাদিক আবদুল গফফার চৌধুরীর একটি অভিমত তুলে ধরছি,” আড়ম্বরপূর্ণ আনুষ্টানিকতার মধ্য দিয়ে নয়,সাহসী সংগ্রামী কর্মসূচির মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধুকে প্রকৃত ভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং আদর্শের পুনরুজ্জীবন সম্ভব”।জয় বাংলা।
বদরুল ইসলাম বাদল
কলামিস্ট ও সদস্য বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি।