কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেদাকচ্ছপিয়া কালো সওদাগর পাড়া এলাকায় স্থানীয় ৩৩ জন কৃষকদের নিজস্ব অর্থায়নে একটি বেড়িবাঁধ ও একটি ফলবোট নির্মিত হওয়ায় মিঠা পানিতে অন্তত ৫০ কানি ধানী জমির দু মৌসুমের চাষাবাদে কৃষকরা এখন আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে।চলতি বর্ষা মৌসুমেও মিঠা পানিতে ধান চাষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষকরা।ফলে সোনালী ফসলের হাসিতে দারুণ ভাবে খুশিও কৃষকরা।তবে সমুহ স্পটে কৃষকদের চাষাবাদের কথা বিবেচনা করে ইতিমধ্যে সরকারী তরফে বিগত (২০১৪ ইং সালে) ব্রিজ ও ব্রিজের সাথে চাষাবাদে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় স্লুইস গেট দেয়ার কথা থাকলেও ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে কিন্তু, স্লুইস গেট বসানো হয়নি।যে কারনে বিপাকে পড়ে ওই এলাকার কৃষককুল।স্থানীয় কৃষক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে ৩৩ জন কৃষক থেকে চাঁদা তুলে ব্রিজ থেকে মাত্র ১শ গজ পশ্চিমে ফলবোট বসানো হয়েছে পানি নিষ্কাশন এর জন্য।যাতে চাষাবাদ করার জন্য সুদিন এবং বর্ষ মৌসুমে অবাধে ফলবোট দিয়ে পনি যাওয়া আসা করতে পারে।শুধু কাই নয়।এ সাথে ৫০ হাত বা ৭৫ ফিট ব্যবধানে নির্মাণ করা হয়েছে একটি বেড়িবাঁধও।যাতে লবণ পানি না ঢুকতে পারে।উপকার ভোগি ৩৩ জন বা ৫০ কানি ধানি জমিতে চাষাবাদের সুফল ভোগ করছে এখন কৃষকরা।এদিকে ধানী মৌসুম চলাকালীণ অন্তত ১০ মাস কোনভাবেই সমুহ জমিতে লবণ পানি না ঢুকতে সব ধরনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।কিন্তু, কেবল বছরের ২ মাস খরা তাপে লবন পানি ঢুকিয়ে মৎস্য চাষ করা হয়, যে সময় টুকু বর্ষায় নিমজ্জিত থাকে।বিশেষ করে জৈষ্ট্য আষাঢ় মাসে।এ সময়ে কোন চাষাবাদ হয়না।অথচ এ নিয়ে একটি মিথ্যা সংবাদও ছাপা হয় গত ১৮ জুন। বলা হয় লবন পানি ঢুকিয়ে এখানে মৎস চাষ করা হচ্ছে।যাতে কোন সত্যতা নেই বলে জানান মাষ্টার মাহবুবুল হক।তিনি বলেন, রাহমত হোসেন ও রবিউল আলম এর সাথে জৈনক ইলিয়াছ নামের এক কৃষকের মতানৈক্য হলে নিজেদের মধ্যে ঝগড়ায় তর্কাতর্কিতে এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কৃষক ইলিয়াছ মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করায় এবং এ নিয়ে চকরিয়া ইউএনও বরাবর একটি দরখাস্ত দিলে তা খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মৌলানা আব্দুর রহমান বৈঠকের মাধ্যমে তা তাদের মধ্যে মিমাংসাও করে দেন। এতে মাষ্টার মাহবুবুল আলমকে জড়ানো হলেও তার কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানান বাকী অন্তত ৩০ জন কৃষক। স্থানীয় ৩৩ জন মানুষ আর্থিক যোগান দিয়ে চাষাবাদের জন্য উপরোক্ত ফলবুট নির্মাণ কররায় এক শ্রেণীর মানুষের মাঝে এটি চক্ষুুশুলে পরিনত হয়।সরকারি তরপে চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হয়ে এলাকাবাসী জমির মালিক কৃষককুল উপরোক্ত ফলবোট ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে এবং তারা নিজেরা এর সুপলও ভেগ করে চলেছে।কৃষকরা বলেন, বেড়িবাঁধ ও ফলবোট বসানো হয় শুধু লবণ পানি রোধ করতে।৫০ কানি জমির চাষাবাদ করতে এই ফলবোট নির্মাণ করা হয় ২০১৪ সালে।কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।বছরের যে ২টি মাস কোন ধান চাষ হয়না, তাই তারা সবাই মিলে মৎস চাষ করে, যে আয় হয় তা দিয়ে তারা ধান চাষে মৌসুমেই আর্থিক যোগান পেয়ে আসছে।