পেকুয়ায় হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধ নারী, ৮ বছরের শিশু, স্কুলের শিক্ষক ও সমাজ কমিটির সর্দারও রয়েছেন। ৩ জুলাই (সোমবার) সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের বটতলী স্কুলপাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ওই এলাকার মৃত কাছিম আলীর স্ত্রী ভেলুয়ারা খাতুন (৮০), তার পুত্র আবু তাহের (৫০), আবু তাহেরের ছেলে মো: রিদুওয়ান (২৫), ৮ বছর বয়সী শিশু সন্তান আবদুল্লাহ, আবু তাহেরের ছেলে শাকের উল্লাহ (১৯), মৃত আবদু রহিমের ছেলে এবং ফটিকছড়ি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: ইউনুছ (৪৮), মৃত আবদুল ওয়াদুদের ছেলে ও স্থানীয় সমাজ কমিটির সর্দার নাছির উদ্দিন (৫৫), আহমদ হাসানের ২ পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (৩৪), মো: সোহেল (২৮), আবু তাহেরের স্ত্রী সাকেরা বেগম (৪৫)। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২.৩৩ শতক জায়গা নিয়ে টইটংয়ের বটতলী স্কুল পাড়ায় মৃত কাছিম আলীর পুত্র আবু তাহের গং ও একই এলাকার প্রাইমারীর শিক্ষক মৃত মোহাম্মদ আলমের মেয়ে তোফা ইয়ারুবা গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। জায়গাটির স্থিতি অবস্থান টইটং সীমান্তব্রীজ ও জুমপাড়া সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে। সম্প্রতি ওই জায়গায় বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য কাছিম আলীর পুত্র আবু তাহের মাটি ভরাটসহ নির্মাণ সামগ্রী মজুদ করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্ধসহ একাধিকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। ঘটনার দিন সকালে এর জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এতে করে আবু তাহের গংদের পক্ষে ৬ জন ও প্রতিপক্ষের ৪ জনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আবু তাহের জানান, এ জায়গা তার বৈধ সম্পত্তি। কিছু জায়গা ক্রয় করেন। অবশিষ্ট জায়গা তার পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত অংশ। মাটি ভরাট করে ওই স্থানে তিনি বাড়ি নির্মাণকাজ শুরু করছিলেন। কিন্তু আলম মাস্টারের মেয়েরা বাধা সৃষ্টি করেছে। চেয়ারম্যানের কাছে বিচার ছিল। পরিষদের রায় আবু তাহেরের অনুকুলে আছে। অপরপক্ষের ফটিকছড়ি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: ইউনুছ জানান, এ জায়গা তাদের ভোগ দখলীয় সম্পত্তি। ৫০ বছর ধরে তারাই ভোগ করছিলেন। আবু তাহের পেশী শক্তি নিয়ে জায়গা দখল করতে আসে। আলম মাষ্টারের দুই মেয়েকে এর আগে জখম করা হয়েছে। এক মেয়ে চট্টগ্রাম সরকারী মহসিন কলেজের অনার্সের ছাত্রী। তাকেও আঘাত করা হয়। পেকুয়া থানার ওসি ওমর হায়দার জানান, লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।