মাত্র সাড়ে ৫ হাজার টাকায় হেলিকপ্টারে আনন্দভ্রমণের সুযোগ দিচ্ছে ফ্লাই টেক্সসি এভিয়েশন। রিজিওনাল পার্টনার প্যাসিফিক বীচ লাউঞ্জ ক্যাফে ও শফিক মোটরস্ এর যৌথ উদ্যোগে কক্সবাজারের আশপাশে ১০ মিনিট হেলিকপ্টারে করে পাখির চোখে পর্যটন নগরী দেখার সুযোগ করে দেবে তারা।আগামী ১ জুলাই ইনানী সী পার্ল সংলগ্ন ফ্লাই টেক্সসি এভিয়েশন, প্যাসিফিক বীচ লাউন্জ ক্যাফে ও শফিক মোটরস্ এর যৌথ উদ্যোগে এই সার্ভিসটির শুভ উদ্বোধন করার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।সোমবার (২৬ জুন) রাতে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘জয় রাইড’ এর সুযোগ সুবিধার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।ফ্লাই টেক্সসি এভিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরকে রিপন জানান, পর্যটন ব্যবস্থাকে আরো আকর্ষণীয় করতে দেশের প্রধান পর্যটন স্পট কক্সবাজারে হেলিকপ্টার ভ্রমণ সার্ভিস চালু করেছে ফ্লাই টেক্সসি এভিয়েশন লিমিটেড। এই কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী মনসুর খান। শুরু থেকে কক্সবাজারের চারটি পয়েন্ট থেকে এ সার্ভিসটি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পয়েন্টগুলো হলো- হিমছড়ি, রেজুখাল, ইনানী ও পাটোয়ারটেক। খুব শিগগরিই সেন্টমার্টিন সার্ভিস চালু করা হবে। প্রতিজন ৫ হাজার ৫০০ টাকা করে ৫০০ ফুট উপর থেকে একসাথে ৪ জন কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারবেন। যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়ে সিভিয়েল এভিয়েশন কর্তৃক পরীক্ষিত হেলিকপ্টারে ভ্রমণপিপাসুরা ঘুরতে পারবেন নিরাপদে।তিনি আরও জানান, ‘শুরুতে আমরা একটা হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছি। এটি ১০ মিনিট পর পর ছাড়বে এবং দিনে ১২ থেকে ১৫ বার উড্ডয়ন ও অবতরণ করবে। যে জায়গা থেকে উড্ডয়ন হবে সে জায়গায় অবতরণ করবে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টার বুকিং হবে সার্ভার থেকে। এছাড়া আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য কক্সবাজারের কলাতলীতে অফিস রয়েছে।কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান বলেন, কক্সবাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবস্থাটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। কেননা, কম খরচ খুব সহজে পুরো কক্সবাজারটা ঘুরে ঘুরে দেখা যাবে। এক্ষেত্রে সময় ও শ্রম দুটিই বাঁচবে। এছাড়া সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে সেন্টমার্টিন থেকেও ঘুরে আসা যাবে। আশা করি ভ্রমণপিপাসুরা এই উদ্যোগে উপকৃত হবে।কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু তাহের বলেন, অনেক দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি কক্সবাজারে হেলিকপ্টারে ভ্রমণের উদ্যোগটা যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। বিভিন্ন দেশে দেখেছি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এ ধরণের চমৎকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন উদ্যোক্তারা। সেখানে প্যারাসাইলিং, হেলিকপ্টার রাইড থেকে শুরু করে বিভিন্ন নতুন নতুন উদ্ভাবনী মাধ্যমে দেশীয় পর্যটকের পাশাপাশি বাইরের পর্যটকরাও আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠছেন। সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করছে তারা। ঠিক একইভাবে কক্সবাজারে হেলিকপ্টারে ভ্রমণের উদ্যোগটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। লোকজন পাখির চোখে কক্সবাজারের সৌন্দর্য উপযোগ করতে হেলিকপ্টারে চড়বে।এ সময় ফ্লাই টেক্সসি এভিয়েশন ডাইরেক্টর হেড অব অপারেশন ক্যাপ্টেন শফিউল করিম, প্রথম আলোর কক্সবাজার অফিস প্রধান আবদুল কুদ্দুস রানা, প্যাসিফিক বীচ লাউঞ্জ ক্যাফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবেদ ইকবাল, ফ্লাই টেক্সসি এভিয়েশনের রিজিওনাল পার্টনার শফিক উল্লাহ, ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) এর সভাপতি আনোয়ার কামাল, ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) এর সভাপতি রেজাউল করিমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।