রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, ” রাজনীতির মাঠে এখন রাজনীতির চর্চা নাইবললেই চলে ,আদর্শ ও নীতিনৈতিকতার অনুশীলনের চরম অভাব। জনগণের সেবা করার কথা বলে রাজনীতিতে আসে অনেকে। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা যায় নিজের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে রাজনৈতিক দলকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে রাজনীতিতে আসা অধিকাংশ মানুষ। বিশেষ করে বড় দলগুলোতে সুবিধাভোগীদের প্রচুর ভীড়। ঘাপটি মেরে বসে থাকে সুযোগের প্রত্যাশায়৷বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে রাজনীতিতে দলবদল, সকাল বিকাল বদল, আসা-যাওয়ার উদ্ভব পরিস্থিতি দেশের রাজনৈতিক চারিত্র্যের অবক্ষয়ের মহাউত্সব শুরু হয়। ফলে রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধাবোধ কমে যায়। গেল চৌদ্দ বছরে সরকার দলীয় রাজনীতির মাঠেও এমন অনেক নেতার চরিত্র উন্মোচিত হয়েছে যে, তারা শুধু মাত্র নেতা হওয়ার জন্য কিংবা এমপি, মেয়র বা চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু দর্শনের পতাকা ধারণ করে।দেশের প্রতিটি প্রান্তে যা অহরহ প্রতীয়মান এবং দৃশ্যমান হতে দেখা যায়।।মনোনয়ন কিংবা পছন্দের পদবি না পেলে বেরিয়ে আসে তাদের আসল মুখোশ। ফলে সাধারণ কর্মীদের মাঝে রাজনীতির প্রতি নেতিবাচক ধারণা এবং অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র মুজিবুর রহমান এর দলের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সারা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি জীবন্ত ছবক হয়ে রইলো। সাগর পাড়ের মেয়র মুজিব হয়ে উঠলো রাজনৈতিক সুশিক্ষার পাঠ। তিনি প্রমাণ করলেন ,”ব্যক্তির চেয়ে দল বড়”। দলের সীদ্ধান্তই শিরোধার্য।মুজিব বদ্দা তাহার কথা রাখলেন।পৌরসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিভিন্ন সভায় বারবার বলেছেন,”দল যে সিদ্ধান্ত দিবেন তিনি তা মেনে নিবেন, পদপদবী, মেয়র, চেয়ারম্যান হিসেবে নয় তিনি একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে তার সেরাটা দলের জন্য উজাড় করে দিতে চান”। হাই কমান্ড সংগঠনের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক ফোরাম। এই ফোরামের নির্দেশ প্রতিটি ইউনিট মেনে চলতে বাধ্য। মনোনয়ন না পেয়েও হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকে উদার চিত্তে মেনে নিয়ে নৌকার প্রচারণায় নিজের সেরাটা দিয়ে এই জনপদের রাজনীতির আকাশে তারকারাজনৈতিক এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রইলেন তিনি। কক্সবাজারের সকল শ্রেণিপেশার মানুষের অভিমত, “মাহবুবর রহমানের বিশাল জয়ে মেয়র মুজিবের অবদান অনস্বীকার্য”। ফলে জনগণের নেতা হিসেবে আরো একধাপ এগিয়ে গেলেন মেয়র মুজিবুর রহমান।তিনি সাবেক ছাত্রনেতা এবং কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস ছিলেন।
কেন মুজিব বদ্দাকে মানুষ নেতা মনে করেন? প্রচলিত আছে, “মানুষ সাধারণত সাহসীদের নেতা বানায়।তুমি যদি সাহস করে মানুষের অধিকারের কথা বল,তাদের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে ত্যাগ স্বীকার করো -তবে তারা নিজেরাই তোমাকে তাদের নেতা বানাবে এবং তোমার নেতৃত্ব অনুসরণ করবে”। মোদ্দাকথা হল নেতা হয়ে কেউ জন্মগ্রহণ করেনা।নেতার জন্ম হয় নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে। আর নেতৃত্বের জন্ম হয় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। দৈনন্দিন জীবনে নানাবিধ সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে মানুষকে অনেক বাধাবিঘ্নের সম্মুখীন হতে হয়, ঠিক তখন সঠিক নির্দেশনা নিয়ে নেতৃত্বের আবির্ভাব থেকে নেতার জন্ম হয়। সহানুভূতিশীল রোগীবান্ধব ডাক্তার দেখলে যেমন রোগী অর্ধেক সুস্থ হয়ে ওঠে, ঠিক একজন ভালো নেতার সান্নিধ্যে মানুষ পায় স্বস্তি। রাজনৈতিক কর্মীরা জনগণের অতন্দ্র প্রহরী,আর রাজনীতির শেষ কথা জনগণ।জনগণের জানমাল রক্ষায় যিনি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন, তাকেই মানুষেরা বিশ্বাস করে। সকলেরই জানা কথা যে, আওয়ামী বিরোধী শক্তির শক্ত অবস্থান ছিল কক্সবাজার।পচাঁত্তর পরবর্তী দুঃসময়ে, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধে সেইসময়কার নাজুক পরিস্থিতি থেকে জনগণের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে রাজপথ থেকে উঠে আসেন একজন মুজিব বদ্দা।হয়ে উঠেন নেতাকর্মীদের আস্থার ঠিকানা। রাজপথের উত্তাল উত্তাপে কষ্টিপাথরের মতো নিজেকে পুড়িয়ে একজন শক্তিশালী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বারবার প্রমাণ করে গেছেন । কঠোর পরিশ্রমে রাজনীতির প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে উঠে আসা অনুসরণীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তিনি ।আধুনিক দুবাইয়ের প্রতিষ্টাতা শেখ রশিদ আল মাখতুম এর ভাষায়,”দুঃসময় শক্তিশালী মানুষ তৈরি করে। আর শক্তিশালী মানুষ সুসময় তৈরি করে। সুসময় দুর্বল মানুষের জন্ম দেয়,আর দুর্বল মানুষ দুঃসময় তৈরি করে”।
মাঝেমধ্যে রাজনীতির মাঠে কিছু নেতার সন্ধান পাওয়া যায় যাদের চেহেরাটা দেখলেই বিশ্বাস করতে মন চায়,সমাজ পরিবর্তনের মতো জটিল পথ পাড়ি দিতে জনগণের সাথে সব সময় পাশে থাকবে আশা করা যায়। কক্সবাজার জেলার মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলার আওতাধীন এলাকায় বসবাস আমার।মুজিব বদ্দার সাথে আমার তেমন বেশী আলাপ নাই।নব্বই দশক থেকে বঙ্গবন্ধু রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত হয়ে বড় হয়েছি। কক্সবাজারে অবস্থানকালীন নিজের ভাললাগা থেকে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সভায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য শোনার চেষ্টা করি।মেয়র মুজিবকে দেখে এবং কথা শুনে মনে হয়েছে, তার মধ্যে একটি সম্মোহনী শক্তি আছে,জনগণকে আকর্ষণ করবার ক্ষমতা আছে, সাধারণ জনতাও তাকে ভরসায় আস্থা রাখে।রাজনীতির ময়দানে এই যোগ্যতাকে ক্যারিশমেটিক লিডার বলা হয় ।দেখা যায় তিনি যেদিকে যেখানে যান নেতাকর্মী থেকে সাধারণ মানুষ তার সান্নিধ্যে আসার চেষ্টা করে। পাশে থাকতে চায়।সুখ দুঃখ নিয়ে কথা বলতে চায়। রাজনীতিবিদের সবচেয়ে বড় গুণ হলো মানুষের মন জয় করা,মানুষকে আকর্ষণ করা। গবেষক মেক্স ওয়েবার এর মতে, “যিনি তার চারপাশের জনগনকে উত্সাহিত করতে পারেন, প্রণোদিত করতে পারেন, যাকে দেখলে যার কথা শুনলে জনগণ উত্সাহিত হয়ে উঠে, ভবিষ্যতের সপ্নে বিভোর হতে পারে এমন মানুষই সম্মোহনী নেতা।তাদের কথায় এবং কাজে অনুসারীদের ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে থাকে। রাজনৈতিকদের সহানুভূতি ও সৃজনশীলতার মধ্যে থাকতে হবে ইতিবাচক মনোভাব এবং অনুপ্রেরণা। তাহলেই পরিবেশ পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। যে নেতা কর্মী বান্ধব যিনি কর্মীদের সুখেদুঃখে নিজেকে সঁপে দেন তিনিই দলের আদর্শ নেতা।অভিজ্ঞদের মতে,”সব মুশকিল আসানের জন্য কর্মীবান্ধব নেতাই কর্মীদের ভরসাস্থল। এতে নিয়ম-নীতি ভাঙ্গলো কি মচকালো তাতে কিছু যায় আসে না। যেকোনও পরিস্থিতিতে যে ব্যক্তি ধারাবাহিক ভাবে সফল হওয়ার ক্ষমতা রাখেন এবং কোন সংস্থা কিংবা সমাজের প্রত্যাশা পূরণকারী হিসেবে স্বীকৃতি পান,তিনিই কার্যকর নেতা”।তেমনিভাবে কক্সবাজারে রাজনৈতিক মাঠে যেকোনো পরিস্থিতিতে মেয়র মুজিবের উপস্থিতি পরিবেশ অনুকূলে চলে আসে।বিভিন্ন সভায় তার গান যেন চেতনার ঝংকার।বীরোচিত হুঙ্কার প্রতিপক্ষের দূর্গকে তটস্থ করে । তিনি কর্মীদের ভাষা বুঝেন,কর্মীদের পাশে থাকেন।দলের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের অভিমত যে, সরলতার সুযোগে কিছু সংখ্যক চাটুকার তাকে বিভান্ত করার অপচেষ্টা করে ।ফলে অনেক সময় বিরূপ পরিস্থিতিও মোকাবিলা করতে হয়।
সাধারণ দৃষ্টিতে দেখা যায়, পুরো দেশ যেন আওয়ামী লীগে ভরে গেছে।চারিদিকে শুধু আওয়ামীলীগ।কিন্ত এর মধ্যে ও দলীয় প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন হবে”। বিশ্লেষক মহল কথাটির মর্মার্থ খুঁজতে গিয়ে অনেক গুলো কারণের মধ্যে অন্যতম প্রধান পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত করেন যে,দীর্ঘদিন ক্ষমতা থাকার পরও ঘর গোছাতে পারেনি কিংবা চেষ্টা করেনি আওয়ামী লীগ। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত অধিকাংশ পদপদবিধারী শুধু নিজেদের ভাগ্য গোছাতেই ব্যস্ত আছে । সবজায়গায় জবাবদিহিতার চরম অভাব,নিজেদের মধ্যে দলীয় কোন্দল, একে অন্যকে না মানার সংস্কৃতি থেকে নিজের বলয় সৃষ্টির মাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা উপেক্ষিত হতে থাকে বারেবার। বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে দলের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে স্বার্থান্বেষী মহল । পত্রিকান্তরে জানা যায়, বিদ্রোহী প্রার্থীদের পিছনে গোপনে কোন না কোন বড় নেতার ইন্দন থাকে,আর্শীবাদ থাকে। মন্ত্রী সাংসদ থেকে কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পদপদবীধারীরা বিদ্রোহীদের মদতদান করে। ফলে দলের সীদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার পরও সাহস হারায় না অনেক বিদ্রোহীরা।আওয়ামীলীগ কক্সবাজার জেলার সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা তাপস রক্ষিত বলেন, “মেয়র মুজিব নৌকা বিরোধীদের সাথে কোন আপোষ করে নাই।কোন বিদ্রোহী তার হাতে ফুল দিতে সাহস রাখে না। জেলা সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের মর্যাদা রক্ষার্থে নৌকা বিরোধী মহলের সাথে সখ্যতা রাখেন না তিনি”।দীর্ঘ একুশ বছর পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে ও অনেক চ্যালেন্জিং সময় পার করেছে ।স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সহ পরাজিত গোষ্ঠীর দেশীয় দুসরদেরকে রাজপথে মোকাবিলা করতে সিপাহশালার ভূমিকায় রাজপথ দখল করার অমিয় সাহসের কান্ডারী ছিলেন মেয়র মুজিব। রাজনীতিতে নব্বই দশক থেকে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বেড়ে উঠা জাসদ কক্সবাজার জেলা সহ সম্পাদক এবং শহর শাখার সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ হোসাইন মাসু বলেন,”মুজিব ভাই এই জনপদের শুধু একক দলের সম্পদ নয়,মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক গনতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথের উজ্জীবিত সাহসের একমাত্র বাতিঘর এবং বটবৃক্ষ মেয়র মুজিব”।জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছাত্রনেতা নুরুল আজিম কনক বলেন,”কক্সবাজার রাজপথের মিটিং মিশিলের প্রাণপুরুষ মুজিব বদ্দা। কর্মীদের ভরসাস্থল। তবে অতি সরলতা উদারতার কারণে অনেক সময় প্রতিকূল পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে যান তিনি”।
তৃণমূল আওয়ামী লীগের কর্মীরা মনে করেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেয়র
মুজিববদ্দাকে আরও বৃহত্তর দায়িত্বে অধিষ্ঠিত করবেন।তার উদারতা, সরলতা, অদম্য সাহস নেত্রীর প্রতি অবিচল বিশ্বাস, রাজনীতির দুর্গম পথ পেরিয়ে অনেক দুর এগিয়ে যাবেন । নিবেদিত কর্মীদের প্রাণের উচ্ছ্বাসকে সন্মান জানাবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
যিনি সাঁতরাতে জানেন তিনি প্লাবনকে ভয় করে না।জেলার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তার সুচারু নেতৃত্ব দল আরো শক্তিশালী, শুদ্ধ রাজনৈতিক অনুশীলন এবং দলের একনিষ্ঠ ত্যাগি কর্মীরা মুল্যায়িত হবে আশাবাদী।ফলে এই জনপদে সাংগঠনিক দক্ষতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে প্রজন্মের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে উঠবেন তিনি।
অভিনন্দন নবনির্বাচিত মেয়র মাহবুবর রহমান চৌধুরী।তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর আবেগে আপ্লুত হয়ে কৃতজ্ঞতা জানাতে ছুটে গিয়ে মেয়র মুজিবের বুকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।ভাইরাল হওয়া এই দৃশ্যকে” নেতা-শিষ্য নয়,এ যেন পিতার বুকে সন্তানের আশ্রয়”হিসেবে মন্তব্য করেন “অপরাজেয় বাংলা” র সদস্য সচিব এইচ রহমান মিলু।তিনি নিজের ফেইসবুক টাইমলাইনে লিখেন, ” বিশাল হ্নদয়ের অধিকারী কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের প্রাণ পুরুষ মুজিবুর রহমান মুজিব। সমগ্র বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যদি এমন দৃশ্য দেখতে পাই,তবেই “অপ্রতিরোধ্য আওয়ামীলীগ” দেখতে পাবে গোটা জাতি। জয় বাংলা।
লেখক-
বদরুল ইসলাম বাদল
সাবেক ছাত্রনেতা, সদস্য বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি।