চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের একতাবাজার নতুন রাস্তার মাথা থেকে লালব্রীজ পর্যন্ত এলাকায় অবৈধ বালি উত্তোলনকারীকর্তৃক নির্বিচারে ছড়াখালের বুকে আঘাত করে বালি উত্তোলন বন্ধে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ ও চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ-জামান এর নেতৃত্বে দু দফায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গতকাল, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১ম দফায় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ এর নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশদের সহযোগিতায় ও দুপুর ১২টার দিকে দ্বিতীয় দফায় চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ-জামান এর নেতৃত্বে ২দফায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপজেলা প্রশাসন ও হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক দু’দফা অভিযানে ২টি শ্যালোমেশিন, ১টি ডাম্পার গাড়িসহ অন্তত ৯০ ফুট পাইপ জব্দ করা হয়। অভিযানের বিষয়ে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ বলেন, আজকে সুন্দরভাবেই অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি আরও যেসব অবৈধ শ্যালোমেশিন দিয়ে বালি তোলা হচ্ছে সেসব পয়েন্টে ধাপে ধাপে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এমনকি এর আগেও একাধিকবার এসব অবৈধ বালির পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে, ধাপে ধাপে এসব অবৈধ বালিমহালে অভিযান চলে আসলেও অভিযানের ২দিন না পেরোতেই ফের ছড়াখালে শ্যালোমেশিন বসিয়ে বালি লুটে মেতে উঠে অবৈধ বালি উত্তোলনকারীরা। কিন্তু, এবারের অভিযানের পরও যদি অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা বালু লুট বন্ধ না করে তাহলে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে কঠোর হবে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসন। আজকের অভিযানে অন্তত ৯০ ফুট বালি উত্তোলনে ব্যবহৃত পাইপ জব্দ করা হয়েছে। অন্যদিকে, এবিষয়ে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ-জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হারবাংয়ের ছড়াখাল থেকে শ্যালোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এর আগেও ধাপে ধাপে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিলো। আজকেও এসব বালি উত্তোলনের পয়েন্টগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযানে ২টি শ্যালোমেশিন ও ১টি ডাম্পার গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। অবৈধ বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।