ষড়যন্ত্রমুলক হত্যা মামলায় জড়িয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ২ জন নিরীহ মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে গ্রেফতার এড়াতে তারা গা ঢাকা দিয়েছেন।তারা হলেন বর্নিত ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের লোকমান হাকিমের পুত্র ছৈয়দ আলম ও আবদুল হাকিমের পুত্র শামসুল আলম। বর্তমানে তারা তলিয়াঘোনা পরিচালনা কমিটির সভাপতি-সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করছেন।ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, গত ২ মে উপজেলার ডুলাহাজারা নতুন ঘোনা মৎস্য ঘেরে সোলার প্যানেলের বাল্ব লাগানো নিয়ে ছুরিকাঘাতে বালুরচর গ্রামের সালেহ আহমদের পুত্র আজিজুর রহমান নিহত হয়। পরদিন পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত ঘাতক মোঃ ইছহাককে গ্রেফতার করে।গত ৪ মে নিহত আজিজের স্ত্রী খতিজাতুল কোবরা বাদী হয়ে খুনি ইসহাককে প্রধান আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। অথচ এ ঘটনায় ৩/৪ নং যাদের আসামি করা হয় তাদের কেউই জড়িত ছিল না।মামলার ৩ নম্বর আসামি ছৈয়দ আলম ও ৪ নম্বর আসামি শামসুল আলম জানান, তলিয়াঘোনা চিংড়ি ঘের ইজারার জের ধরে তাদের মামলায় জড়ানো হয়েছে। অথচ সে সময় আসামিরা খুটাখালীতে অবস্থান করছিলেন। তারা জানান, থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মুজিবুর রহমানকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।তবে খুটাখালীর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, মামলায় (আলম-শামসু) যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা এলাকার সহজ সরল ও ভাল মানুষ।চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) মোঃ আবদু জব্বার জানান, নিরাপরাধ কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন তা দেখা হবে।খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে পাশ্ববর্তী ডুলাহাজারা চিংড়ি ঘেরে, উল্টো মামলা করা হয়েছে আমার এলাকার দু’জন নিরীহ লোকজনের নামে। বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক থানার ওসি ও ইউএনও মহোদয়কে অবহিত করেছি।