জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রথমবার মোতায়েন হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ এক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোজাল (ব্যানইওডি) প্লাটুন’।বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাতে এই প্লাটুনের ৩৬ সদস্য কঙ্গোর উদ্দেশ্যে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন।মিশনের এক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোজালের অংশ হিসেবে এই কন্টিনজেন্টটি অপারেশন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে মোতায়েন করা হবে। জাতিসংঘ সদর দপ্তরের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এই কন্টিনজেন্টকে প্রস্তুত এবং অপারেশনাল এলাকায় নিয়োগের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে। শুধু মৌলিক অস্ত্র সরঞ্জাম নিয়ে শান্তিরক্ষা মিশন এলাকায় স্বল্পতম সময়ে মোতায়েন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের জন্য একটি নতুন সংযোজন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব ও আত্মত্যাগের বিষয়ে আলোকপাত করেন। এ ছাড়াও সেনাবাহিনী প্রধানের অভিজ্ঞ দিকনির্দেশনা, সামরিক কূটনীতি এবং দক্ষ নেতৃত্বের ফলেই বিভিন্ন মিশনে বাংলাদেশের জনবল এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চিফ অব স্টাফ, বিভিন্ন মিশনে ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার ও সেক্টর কমান্ডার পদে দায়িত্ব পালনসহ মিশনের নেতৃস্থানীয় পদে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পদায়নও বেড়েছে। গত তিন দশকে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের ৪০টি দেশে ৫৬টি শান্তিরক্ষা মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। এসব দুঃসাহসিক অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৩০ জন সদস্য বিশ্ব শান্তিরক্ষায় প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়ে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। এই মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৩১ জন সদস্য নিহত এবং ২৩২ জন আহত হন। বর্তমানে জাতিসংঘের ৯টি দেশের ১০টি মিশনে ৬ হাজার ৯ জন সেনাসদস্য কর্মরত। আইএসপিআর।