নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বাতিল করা হয়েছে অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং মাদ্রাসার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। এ-সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সারসংক্ষেপ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব আক্তার উননেছা শিউলী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়। আক্তার উননেছা শিউলী বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১-এ জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তাই এ দুটি পাবলিক পরীক্ষা বাদ দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। তিনি তা অনুমোদন করেছেন। নতুন শিক্ষাক্রমে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা রাখা হয়নি। আর চলতি বছর থেকে শুরু হয়েছে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম। আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হবে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকের একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। এ ছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়নে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। এর মধ্যে প্রাথমিকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা হবে না। পুরো মূল্যায়ন হবে বিদ্যালয়ে ধারাবাহিকভাবে শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় বসবে দশম শ্রেণিতে। এরপর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দুই পরীক্ষার ফল যোগ করে উচ্চমাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করা হবে।সাধারণত, প্রতিবছরের নভেম্বরে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হতো। কিন্তু করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে আর এ দুটি পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।