উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা সন্ত্রাসীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করলে অযুরত অবস্থায় মো. নবী নামের এক রোহিঙ্গা গোলাগুলির শব্দ শুনে দৌঁড়ে পালানোর সময় তার বাম উরুতে ১টি গুলি লেগে গুরুতর আহত হয়েছে। এসময় মো. নবীর বাড়িতে একটি শক্তিশালী গ্রেনেডের সন্ধান পেয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ (ইস্ট)-এর বি-৩৯ ব্লকের মোহাম্মদ নবী নামে একজনের বসতঘরে গ্রেনেডের সন্ধান পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দলকে ডাকা হয়।এর আগে একদল দুর্বৃত্তের ছোঁড়া গুলিতে আহত হয়েছেন বসতঘরের মালিক মোহাম্মদ নবী। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্ত্যবরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।আহত মোহাম্মদ নবী ক্যাম্প-৮ এর বি/৩৯ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ কাশিমের ছেলে।৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (অপস্ এন্ড মিডিয়া) মো. ফারুক আহমেদ শুক্রবার রাত ১০ টায় এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।সূত্র মতে, শুক্রবার বেলা দেড়টায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ ইস্ট এর বি/৩৯ এলাকায় কথিত আরসা সদস্যদের ১০-১২ জনের একটি দল প্রবেশ করে ৮/১০ রাউন্ড ফায়ার করে। এতে রোহিঙ্গা শরণার্থী মোহম্মদ নবী গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করতে গিয়েই তার ঘরে একটি গ্রেনেড সদৃশ বস্তুর অস্তিত্ব মিলে। গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গাকে উদ্ধারের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আর তার বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়।গ্রেনেড সদৃশ বস্তু পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ৮ এপিবিএনের ইনচার্জ (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ আমীর জাফর বলেন, ক্যাম্পের একটি বাসায় গ্রেনেড সদৃশ বস্তু দেখে আপাতত আমরা বসত ঘরটি ঘিরে রেখেছি। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সাথে কথা বলে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ বিস্ফোরক দলকে ডাকা হয়েছে। এ নিয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জালাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি কিভাবে, কোথা থেকে আসলো তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আহত নবী আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। সুস্থ হলে তাকে জিজ্ঞেসবাদ ও অনুসন্ধান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।