কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বালুচরে প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে বানানো হয়েছে ৪২ ফুট উচ্চতার বর্জ্য দানব। কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন থেকে সংগ্রহ করা প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে বানানো হয়েছে এই বর্জ্য দানব। সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ৭ দিনের জন্য এই উদ্যোগ।বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। এ সময় তিনি বলেন, সমুদ্রকে-রক্ষা করতে পারলে রক্ষা হবে প্রকৃতি ও প্রতিবেশ।বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক মানস পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, বিচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সদস্য রেজাউল করিম, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক আকরাম হোসেন বক্তব্য রাখেন। এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি বিভীষণ কান্তি দাশ, সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস রানাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।৪২ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্যটি বানানো হয়েছে সৈকতের ৮ টন প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে। এটা বানাতে সময় লেগেছে ৭ দিন। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার থেকে ৭ দিন প্রদর্শনীর পর এ ভাস্কর্যে লাগানো প্লাস্টিক রিসাইকেল করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকেরা। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে সমুদ্র দূষণ থেকে রক্ষায় বানানো এ ভাস্কর্য বানানো এশিয়ার সর্ববৃহৎ ভাস্কর্য বলে দাবী ভাস্কর আবীর কর্মকার। আবীর কর্মকারের সাথে এ ভাস্কর্য তৈরিতে কাজ করেছে শুভ্র, নির্ঝর, সাব্বির, বিপ্লব ও উজ্জল।