পেকুয়ায় কিছুদিন পূর্বে উদ্ধারকৃত বনবিভাগের জমি প্রভাবশালীরা আবারো দখলে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মগনামা ইউপির বাজার পাড়া এলাকায় দখলের ঘটনাটি ঘটে।সরেজমিনে দেখা যায়, মগনামা ইউপির ভোলাখাল বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় বনবিভাগের বেশ কিছু জমি (বিএস সিট নং ৩ এবং ৪০৫৩ নং দাগের) জবরদখল করে নিয়েছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এ বিষয়ে দখলকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বনবিভাগের কর্মকর্তারা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে মগনামা ইউপির ভোলাখাল বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ৪ একর বনবিভাগের বেদখলীয় জমি উদ্ধার করে বনবিভাগ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।সরকারি সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে ৪ একর জমি বনবিভাগের অধীনে নিয়ে আসা হয়। পরে ওই জমিতে চারা গাছ রোপণ করে বনবিভাগ। কিন্তু ওই প্রভাবশালী মহল আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করে আবারও জমিগুলো তাদের দখলে নিয়ে নেয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বনবিভাগ।মগনামা উপকূলীয় বিট কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, মগনামা ভোলাখাল বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ৪ একর জমি দীর্ঘদিন ধরে বেদখল ছিলো। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জমির পরিমাপ করে বেদখলে থাকা ৪ একর জমি বনবিভাগের আওতায় নিয়ে আসি এবং চারা গাছ রোপণ করি। কিন্তু ওই প্রভাবশালীরা আবারও বনবিভাগের জমি দখল করে নিয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটা মামলা দায়ের করা হয়েছে।মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরী বলেন, বেশ কিছুদিন আগে মগনামা উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা বনবিভাগের আওতাধীন ৪ একর সরকারি জমি উদ্ধার করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই কুচক্রী মহল আবারও জমিগুলো দখল করে নিয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা বলেন, জমিগুলো বনবিভাগের অধীনে ছিলো এ বিষয়ে আমি অবগত। তবে জমি দখল করে মাটি কাটার বিষয়ে আমি অবগত নই। যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।