চকরিয়ায় স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় শ্রীঘরে গেলেন এক ব্যাংক কর্মকর্তা। মহেশখালী থানা পুলিশের এক অভিযানে গত বৃহস্পতিবার বড় মহেশখালী কৃষি ব্যাংকের নিচ থেকে ঐ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে চকরিয়া থানাকে হস্তান্তর করা হয়।বাদী চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগর ঘোনা গ্রামের মাষ্টার আবদুস সালামে কণ্যা জন্নাতুল ফেরদৌস লাভলীর দায়ের করা যৌতুকের মামলা নং সিআর ১৯৯৯/২২ এর বিবরণ থেকে জানা যায়,আসামী উপজেলা বদরখালী ইউনিয়নের ৩ নং ব্লকের দাতিনাঘোনা এলাকার আবদুল মাবুদের পূত্র মোঃ ইসমাইল দীর্ঘ বছর আগে তার স্ত্রী লাভলীর সাথে বিবাহ বন্ধণে আবদ্ধ হন।শুরু থেকে ভাল ভাবে সংসার করলেও মাঝে লাভলীকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে।চাপে পড়ে স্ত্রী লাভলী কয়েক দফা বাপের বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকা যৌতুক হিসেবে স্বামী নিয়ে দেন।এর মধ্যে ঐ ব্যাংক কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।স্ত্রী লাভলী অনেক বার নিষেধ করা সত্ত্বেও ঐ কর্মকর্তা অবৈধ পথ থেকে ফিরে আসেনি।বরং স্ত্রী কে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতে থাকে এবং আরও যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে স্বামী মোঃ ইসমাইল স্ত্রী লাভলীকে তালাকনামা পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনায় স্ত্রী ২৩ নভেম্বর চকরিয়া উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতের দারস্থ হয়ে ঐ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইলকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করে ২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।