চকরিয়া কোনাখালীতে ভূয়া দলিল সৃজন করে জমি দখল চেষ্টায় সেচ স্কীম পরিচালনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে স্হানীয় তসলিমা আক্তার নামক এক নারীর বিরুদ্ধে।এ নিয়ে ভুক্তভোগী আকবর ওসমান একরাম বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি সেচ কমিটি চকরিয়া বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আকবর ওসমান অভিযোগের সুরে জানান, সরেজমিনে না গিয়ে ও তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার প্রতিনিধি উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে এক তরফা প্রতিবেদন দাখিল করলে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।ভুক্তভোগী বৃদ্ধ জহির আহমদ দাবী করেন,তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিনিধি মহিউদ্দিনকে ২ লক্ষ টাকা উৎকোচ দিলে বিরোধীয় জমিতে বৈদ্যুতিক মিটার স্থাপন করে স্কীম সহ যাবতীয় সেচ কাজ পরিচালনা করতে পারবে বলে সাফ বলে দেন।অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, কোনাখালী মৌজার বিএস ১২,৩২১,৪৪৫,৫৮৯ নং খতিয়ান ও নামজারী জমাভাগ ১১৬০,২৩৩৪,৯৮৩,১২৪৫,২২৩৯,১৩৮৭,১২৪৬ নং খতিয়ানের আন্দর নিজ প্রায় ২২ কানি জমিসহ বিভিন্ন লোকের প্রায় ৫০ একর জমি আছে।কোনাখালী খাল পাড়েতার পূর্ব পুরুষাণুক্রমে ১২০০ ফিট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফিট প্রস্থ বিশিষ্ট ড্রেইন তৈরি পূর্বক বোরো মৌসুমে ধান্য ও ফসলি জমিতে পানি সেচ প্রকল্প পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ তসলিমা গং দূর্লোভে বশীভূত হয়ে ৪০/৫০ বছরের পানি সেচ প্রকল্পে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে বিদ্যুৎ মিটার ও স্কীম পরিচালনার জন্য ভূয়া আবেদন করে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা পায়তারায় লিপ্ত আছেন।প্রতিপক্ষ তসলিমা গং এর আবেদনে উল্লেখিত ১১৫০ নং নামজারী জমাভাগ খতিয়ানের ৫২২ নং নামজারী খতিয়ানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) এর আদালত কক্সবাজারে দায়কৃত নামজারী আপীল মামলা নং ৩৩৯/১৯ আদেশ নং ১৫ তারিখ ১ নভেম্বর ২২ ইংরেজি মূলে প্রতিপক্ষ তসলিমা আক্তারের খতিয়ানের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত আদেশ প্রচারিত হয়।সেহেতু প্রতিপক্ষ উপরোক্ত খতিয়ানে পানি সেচ এর বিদ্যুৎ মিটার পাওয়া ও স্কীম পরিচালনা দায়িত্ব পাওয়ার এখতিয়ার বহিভূর্ত। এ নিয়ে ২৯ নভেম্বর(মঙ্গলবার) দুপুরে কোনাখালী খাল পাড়ের জমিতে পানি চলাচলের সেচ প্রকল্পে দাড়িয়ে ভুক্তভোগী পরিবার সহ এলাকাবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রতিপক্ষের আবেদনে উল্লেখিত খতিয়ানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত উপরোক্ত আপীল মামলার স্থগিত আদেশ আলোচনা পর্যালোচনা করে প্রতিপক্ষের আবেদন বাতিল করতঃ সূত্রোক্ত আবেদন আমলে নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার স্কীম পরিচালনা অনুমতি প্রদানে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভুগী পরিবার।এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মহিউদ্দিনের ব্যবহারিত মোবাইল ফোন ০১৮১৫৬৭৪৪৬০ নং এ মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে রিং দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।