বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে নোম্যান্সল্যান্ডে অভিযান চালাতে গিয়ে গুলিতে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তাসহ এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিন রোহিঙ্গা।নিহতরা হলেন- অভিযানে থাকা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার মো. রেজওয়ান (৩৪) ও রোহিঙ্গা শিবিরের নারী সাজেদা বেগম (২০)।সোমবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তুমব্রু সীমান্তের জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গা শিবিরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই সীমান্তের উভয় দিকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি টহল বাড়িয়েছে। জিরো লাইনে থাকার রোহিঙ্গা শিবিরের কাউকেই এখন বাইরে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাদক পাচারকারীদের একটি চক্র তুমব্রু সীমান্তের রোহিঙ্গা শিবের অবস্থান করছে এ খবর পেয়ে সেখানে সন্ধ্যার দিকে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় রোহিঙ্গা শিবির থেকে মো. জামাল নামের এক পাচারকারীকে আটক করা হয়। ঘটনার পরেই অভিযানকারী র্যাবের দলটির উপর গুলি বর্ষণ শুরু করে মাদক পাচারকারী। এতে ঘটনাস্থলে অভিযানকারী দলটিতে থাকা ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা বিমান বাহিনীতে কর্মরত স্কোয়াড্রন লিডার মো. রেজওয়ান নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রোহিঙ্গা শিবিরের নারী সাজেদা বেগম। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরো তিনজন রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা আহত হয়।রোহিঙ্গা শিবিরের দলনেতা দিল মোহাম্মদ ও ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, তুমব্রু সীমান্তের মিয়ানমার অংশের তুমব্রু লেফ্ট ক্যাম্প অংশ থেকে শতাধিক রাউন্ড গুলি করা হয়। এ সময় আতঙ্কে রোহিঙ্গারা নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেয়। এদিকে ঘটনার পর বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা সেখানে গিয়ে নিহত স্কোয়াড্রন লিডার রেজওয়ানের লাশ উদ্ধার করে। এছাড়া হতাহতদের নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার ও উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতালে। বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।বান্দরবানের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর জনসাধারণের নিরাপত্তায় পুলিশি ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।